প্রবাস ডেস্ক: ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এডেন নগরীর কশর হোটেলে হুতি বিদ্রোহীদের রকেট হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের আনছারুল হক চম্পা নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। নিহতের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মহির খারুয়া গ্রামে। তিনি মহির খরুয়া গ্রামের মৃত নইমুদ্দিন আহম্মেদের ছোট ছেলে। নিহতের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। ঘটনাটি ঘটে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায়। হোটেলে রকেট হামলায় নিহত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিহত আনছারুল সারজা ন্যাশনাল টিমে চাকুরী করত।
নিহত যুবকের বড় ভাই কাঞ্চন মিয়া জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আনছারুল হক চম্পার বন্ধু সোহেল দুবাই থেকে ফোন করে জানায়, বাংলাদেশ সময় ১২টার দিকে ইয়েমেনের ইডেন শহরে কশর হোটেল হামলার ঘটনায় চম্পা মারা গেছে। কাঞ্চন বলেন, তার ভাই তিন মাস আগে দুবাই থেকে ইথুপিয়া যায়। সেখান থেকে দেড় মাস আগে ইয়েমেনের ইডেন শহরের কশর হোটেলে সারজা ন্যাশনাল টিমের সাথে চাকুরী শুরু করে।
রকেট হামলায় নিহত আনসুরুল হক চম্পার স্ত্রী জেসমিন (৩২) বলেন, ঈদের পরে বুধবার আমার স্বামীর সাথে তার কথা হয়েছিল। তখন সে জানায়, ইয়েমেনে কশর হোটেলে ন্যাশনাল টিমের সাথে আছি। এই শহরে শুধু মারামারি। যদি বেঁচে থাকি তাহলে দেশে এসে নতুন ঘর তৈয়ার করব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিহতের স্ত্রীর দাবী তার স্বামীর লাশটি যেন তিনি দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন। রকেট হামলায় নিহত আনছারুল হক চম্পার দুই কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে ঐশি গফরগাঁও খায়রুল্লাহ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। ছোট মেয়ে শশী ঘাগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
তার বড় ভাই মোস্তাক আহম্মেদ রতন বলেন, সংসারের অভাব-অনটন দূর করার জন্য জমি বিক্রি করে ও সুদে টাকা নিয়ে ৪ লাখ টাকা খরচ স্ত্রী-সন্তানের একটু সুখের আশায় সোনার হরিণ ধরতে দুবাই গিয়েছিল ছোট ভাই। সেখান থেকে সে ইয়েমেনে যায়। কিন্তু তার ভাগ্যে সুখ সইলো না।
০৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/