প্রবাস ডেস্ক : হজের সময় পদদলিত হয়ে নিহত হবার ঘটনা এর আগেও হয়েছে। হজের সময় মিনায় পদদলিত হয়ে নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা এখন ৭৯ জনে দাঁড়িয়েছে। সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সর্বশেষ গত ৫ অক্টোবর মি: মসীহ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশির মধ্যে মৃতের সংখ্যা ৫১জন। চারদিনের ব্যবধানে আরো ২৮ জন বাংলাদেশী হাজির মৃতদেহ সনাক্ত করা হলো।
রাষ্ট্রদূত আশংকা করছেন নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। কারণ এখনো ৯০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
মি: মসীহ বলেন যারা নিখোঁজ ছিলেন এখনো তাদের অনেকের মৃতদেহ সনাক্ত করা হচ্ছে। তিনি জানান মৃতদেহ সনাক্ত করতে সময় লাগছে বলেই ধাপে-ধাপে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন মৃতদেহ সনাক্ত করা এবং সেটি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় রেখে কাজ করছে।
মি: মসীহ বলছেন যাদের মৃতদেহ সনাক্ত করা হচ্ছে তাদের দাফনের বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের মতামত নিয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
মৃত ব্যক্তিদের বিষয়ে কি করা হবে সেজন্য বাংলাদেশ দূতাবাস সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর মতামত জানতে চায়। রাষ্ট্রদূত বলেন পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ দূতাবাস পদক্ষেপ নেয়।
মি: মসীহ বলেন, “সবাই চায় তাদের স্বজনকে যেন মক্কা-মদিনার মতো জায়গায় দাফন-কাফন করা হয়। সে রকম একটা ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন মৃতদেহ দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে কোন বিধি-নিষেধ নেই। কেউ যদি তার স্বজনের মৃতদেহ দেশে নিতে চায় তাহলে সৌদি কর্তৃপক্ষ সে ব্যবস্থা করবে।
প্রতি বছর ২০ লাখ কিংবা তার চেয়ে বেশি মানুষ হজ্জের জন্য সমবেত হয়।
নিখোঁজদের খোঁজে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ। সৌদি কর্তৃপক্ষ নিহত হাজিদের ছবি ধাপে ধাপে প্রতিদিন প্রকাশ করছে।
গত ২৪শে সেপ্টেম্বর মক্কার নিকটবর্তী মিনায় হজ্জের সময় শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে যাওয়ার পথে পদদলিত হয়ে শত শত হাজি মারা যান।
সৌদি কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, মৃতের সংখ্যা প্রায় সাড়ে সাতশো। কিন্তু বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করেছে যে মৃতের সংখ্যা ১২শ’র বেশি। সুত্র : বিবিসি বাংলা
১০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/জহির/মো:জই/