প্রবাস ডেস্ক: মালয়েশিয়ার পামওয়েল বাগানের মালিকরা চরম শ্রমিক সংকটে পড়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণে পামওয়েল বাগানের শ্রমিক এলেও বর্তমান বছরে এই সংখ্যাটা অনেক কম। কারণ সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়াতেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ার শ্রমিক কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে মালয়েশিয়ার মুদ্রা রিঙ্গিট’র দরপতনও উল্লেখযোগ্য।
ধারণা করা হচ্ছে, শ্রমিক সংকটের কারণে বাংলাদেশি শ্রমিকদের কপাল খুলতে পারে, বাড়তে পারে বেতনসহ আরোও সুবিধা। আর শ্রমিক সংকটের এমন পরিস্থিতিতে দেশটির পামওয়েল উৎপাদন এবার ১৫ শতাংশ কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মালয়েশিয়ান পাম তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো জানিয়েছে, পামবাগানে কাজ করা শ্রমিকদের প্রায় ৭০ শতাংশই আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে। দুই দেশের সংস্কৃতিতে অনেক বেশি মিল থাকায় এবং তুলনামূলক বেশি আয় হওয়ায় ইন্দোনেশিয়ান শ্রমিকরা মালয়েশিয়াতে প্রচুর পরিমাণে কাজ করতে আসে।
সাম্প্রতিক দু’এক বছরে বিশ্বব্যাপি জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় মালয়েশিয়ার মুদ্রা রিঙ্গিটের দরপতন হতে থাকে। কারণ পাকৃতিক গ্যাস উৎপাদন ও রপ্তানীতে মালয়েশিয়া বিশ্বে অন্যতম। দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার মুদ্রা রুপিয়াহ্র প্রেক্ষিতেই রিঙ্গিতের ১৫ শতাংশ দাম পড়েছে।
এসব কারণ ছাড়াও সম্প্রতি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে বিদেশীদের উপর কড়াকড়ি বিভিন্ন নিয়ম আরোপ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফেলদা গ্লোবাল ভেঞ্চারস’র নির্বাহী জাকারিয়া ইরশাদ বলেন, ‘কম শ্রমিকের জন্য এবারের তেল উৎপাদন প্রভাবিত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিক পাওয়া এখন দূরুহ ব্যাপার। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া থেকে।’
আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো- ইন্দোনেশিয়াই এখন পাম তেল উৎপাদনে মালয়েশিয়াকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। গত বছর ইন্দোনেশিয়া প্রায় ৩ কোটি ১৮ লাখ টন পাম তেল উৎপাদন করেছে। আর সে তুলনায় মালয়েশিয়ায় উৎপন্ন হয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ টন পাম তেল। তাছাড়া, ইন্দোনেশিয়া পাম বাগানের কাজে মালয়েশিয়ারচেয়েও বেশি পরিমাণে মুজুরি দিচ্ছে।
০৮ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস