প্রবাস ডেস্ক : কংগ্রেশনাল অ্যাওয়ার্ড এবং নিউ ইয়র্ক সিটি পাবলিক অ্যাডভোকেট সম্মাননা প্রাপ্তির অনুভূতি জানতে চাইলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন তার সম্মাননা অর্জনের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন।
তিনি বলেন, এই সম্মাননাতে আমি যত খুশি তার চেয়ে বেশি খুশি আমাকে আপনারা সংবর্ধনা দিতে আসছেন। আমি আপনাদের সংবর্ধনা ও ভালোবাসায় সিক্ত। আমি জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছি একমাত্র আপনাদের সহযোগিতায়। আমি 'কংগেশনাল অ্যাওয়ার্ড' ও 'নিউ ইয়র্ক সিটি পাবলিক অ্যাডভোকেট' সম্মাননা পেয়েছি এ শুধু আপনাদের ভালোবাসায়। আমার এই সম্মাননা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করলাম। আমি সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করতে চাই, আপনাদের সহযোগিতায় গণমাধ্যমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
ফরিদা ইয়াসমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে যোগ দেন দৈনিক বাংলার বাণীতে। এরপর মুক্তকণ্ঠ ও যুগান্তরেও কাজ করেন। প্রায় দুই দশক ধরে সফলতার সাথে কাজ করে আসছেন দেশের ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা ইত্তেফাকে। মাঠের সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি শুরু থেকেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার সুরক্ষার লড়াইয়ে প্রথম সারির নাম। সাংবাদিকদের সুখে-দুঃখে-অসুস্থতায় হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। এই কলমসৈনিক গত তিন দশকে দেশের সাংবাদিকদের কাছে এক প্রিয় নামে পরিণত হয়েছেন।
তিনি জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির টানা তিনবার সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১২-১৪ সালে ছিলেন নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। প্রতিকূল সময়েও সাহসী এই সাংবাদিক জাতীয় প্রেসক্লাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ফোরামের পক্ষে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন।
সাংবাদিক নেত্রী হয়ে ওঠা ফরিদা ইয়াসমিনের জন্ম নরসিংদীতে। তার পিতার নাম সাখাওয়াৎ হোসেন ভূঁইয়া, মাতার নাম জাহানারা হোসেন। স্বামী স্বনামধন্য সাংবাদিক নঈম নিজাম। সম্প্রতি তার পুত্র মাহির আবরার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ব্রিজপোর্ট থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন এবং কন্যা নুজহাত পূর্ণতা যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটসে সাংবাদিকতায় স্নাতক পড়ছেন।
২৩ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস