প্রবাস ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে কর্মরত একজন বাংলাদেশীকে গৃহকর্মী ঠকানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় পরে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে। দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন পেয়েছেন তিনি।
দেশটির ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস-এর ওয়েব সাইটে দেয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ থেকে নিয়ে যাওয়া গৃহকর্মীর সাথে ভিসা জালিয়াতি, কর্মী নিয়োগ চুক্তি জালিয়াতি এবং সেই কর্মীর পরিচয় জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে হামিদুর রশীদ নামে ইউএনডিপির এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
তবে, বিষয়টি নিয়ে এখনো হামিদুর রশীদ কিংবা ইউএনডিপির প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এর আগে গত সপ্তাহে গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার জানিয়েছেন, জাতিসংঘের উন্নয়ন সংস্থা ইউএনডিপির ডেভেলপমেন্ট পলিসি অ্যান্ড অ্যানালাইসিস ডিভিশনের প্রধান হিসেবে কর্মরত হামিদুর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয় নিউইয়র্কের সময় মঙ্গলবার সকালে। গ্রেপ্তারের পর ম্যানহাটন ফেডারেল আদালতে তোলা হয় তাকে এবং দীর্ঘ শুনানি শেষে জামিন পান তিনি।
মাত্র এক সপ্তাহ আগেই গৃহকর্মী নির্যাতনের অভিযোগে নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশের ডেপুটি কনসাল জেনারেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই বাংলাদেশী কূটনীতিক গ্রেপ্তারের ঘটনা দেশটির গণমাধ্যমে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বলে জানান নিউইয়র্কের সাংবাদিক লাভলু আনসার।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস-এর ওয়েব সাইটে দেয়া তথ্যে জানা যাচ্ছে যে, রশিদ বাংলাদেশ থেকে আনা গৃহকর্মীর জন্যে প্রযোজ্য জি-৫ ভিসার নিয়ম অনুযায়ী যে মজুরি দেবার অঙ্গীকার করেছিলেন তা পরবর্তীতে মানা হয়নি।
সাপ্তাহিক ৪২০ ডলার মজুরিতে গৃহকর্মী নিয়োগের চুক্তিপত্র পররাষ্ট্র দপ্তরে দাখিল করা হলেও ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে গৃহকর্মী যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালে নতুন একটি চুক্তিপত্রে সই নেন। যেখানে সাপ্তাহিক মজুরি দেখানো হয় ২৯০ ডলার। এছাড়া চুক্তি অনুযায়ী গৃহকর্মীকে সাপ্তাহিক ৪০ ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করানোর অভিযোগও আনা হয়।
নিউইয়র্কের সাংবাদিক আনসার বলেন যে, এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে হামিদুর রশীদের সর্বোচ্চ ২৯ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে ঐ গৃহকর্মী চার বছর আগেই রশীদের কাজ ছেড়ে দেন বলে জানা যাচ্ছে।-বিবিসি
এমটিনিউজ২৪/এম.জে