প্রবাস ডেস্ক : সৌদি আরবে টানা সাত মাস বেতন না পেয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের ৫০ শ্রমিক। এ বিষয়ে তারা সরকারের কাছে বেশ আগে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু তাতে কোন কাজ হচ্ছে না।
এসব শ্রমিক বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার দেনা করে দিনাতিপাত করছেন। দেশে তাদের স্বজনদের কাছে কোন অর্থ পাঠাতে পারছেন না। অবশেষে তারা এর প্রতিবাদে ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। শ্রমিকদের ভিতরে বেশির ভাগই টেকনিশিয়ান ও খেটে খাওয়া শ্রমিক।
অনলাইন সৌদি গেজেট এ খবর দিলেও ওই শ্রমিকের মধ্যে কোন বাংলাদেশী আছেন কিনা তা জানা যায় নি। এমনকি তারা কোন কোম্পানিতে চাকরি করতেন তাও বলা হয় নি। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, এমন দুরবস্থার কথা জানিয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তারপর চার মাস কেটে গেছে। কিন্তু অচলাবস্থা রয়েই গেছে।
একজন শ্রমিক বলেছেন, কোম্পানির সঙ্গে তারা কোন সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেন নি। তাদেরকে শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ক সব ডকুমেন্ট পৌঁছেছে সৌদি গেজেটের হাতে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ওইসব শ্রমিককে আসলে বেতন পরিশোধ করা হয় নি। এ বিষয়ে তারা শ্রম মন্ত্রণালয়ে যে অভিযোগ জমা দিয়েছেন তা নিবন্ধিত হয়েছে।
মোহাম্মদ ফারুক নামে একজন শ্রমিক বলেছেন, তার সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। অন্য সহকর্মীদের তুলনায় তাকে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি বলেছেন, আমি এক্সিট ভিসার জন্য অনুরোধ জানানোর পর থেকেই কয়েক মাস ধরে আমার বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। এখান থেকেই আমার সমস্যা শুরু। এখন আমার কোন ইকামা নেই। আমার এক্সিট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ কোম্পানিতে আমি ৬ বছর কাজ করেছি। যখনই বেতন বিলম্বে দেয়া হয়েছে তখনই আমরা ধৈর্য্য ধরেছি। কিন্তু এবার তা অনাদিকাল পর্যন্ত চলছে। এখন আমরা চলছি বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে অর্থ ধার করে। দেশে আমাদের পরিবারের কাছে কিছুই নেই। আমরা বিদেশে যা উপার্জন করি তা-ই আমাদের সম্বল।
উল্লেখ্য, যে কোম্পানিতে এসব শ্রমিক কর্মরত তারা রেড ক্যাটাগরিতে পড়েছে। ফলে তাদেরকে বহুবিধ সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। এ জন্য তারা শ্রমিকদের বেতন দিতে পারছে না। শ্রমিকরা বলছেন, তাদের বেতন দিতে সাধারণত তিন মাস বিলম্ব করে কোম্পানিটি। কিন্তু এবার সেই সময় সাত মাস পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এটার সহ্যের বাইরে চলে গেছে। -এমজমিন
১১ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম