এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজবাড়ীর পাংশায় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই নিহত তরুণীর পরিচয় মিলেছে।
মৃত পাখিলা আক্তার পাখি (১৮) বাবার লাঠির আঘাতে নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে পাংশার মৌরাট ইউনিয়নের তেলেগাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত পাখিলা আক্তার পাখি একই গ্রামের কালাম মিয়া ওরফে কালুর মেয়ে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, পারিবারিক কলহের জেরে বুধবার রাতে মেয়ে পাখিকে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তার বাবা কালাম মিয়া।
এসময় পাখি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান তার চাচি। কিন্তু চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পাখির মরদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখেই তার চাচি পালিয়ে যান।
পাংশা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরেই এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছে। নিহতের শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে।