মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৪:৪৪:৫৪

অনুষ্ঠানের অতিথি ১৭ জন, তারমধ্যে ১১ জনই আ.লীগ নেতা

অনুষ্ঠানের অতিথি ১৭ জন, তারমধ্যে ১১ জনই আ.লীগ নেতা

এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার শরিসা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দাওয়াতপত্র সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

দাওয়াতপত্রে ১৭ জন অতিথির মধ্যে ১১ জনই উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত আওয়ামী লীগ নেতারা হলেন শরিসা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মো. আজমল আল বাহার বিশ্বাস, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুস সোবাহান, সরিষা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মতিয়ার রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য মো. ইকবাল হোসেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত মো. সিদ্দিকুর রহমান, মো. হোসেন আলী, আবুল কালাম আজাদসহ ১১ জন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, ‘শরিসা ইউনিয়ন বিএএনপির সভাপতি ও সাবেক প্রধান শিক্ষক রেজাউল আলম হুমায়ুন স্যারের পরার্মশে এমন চিঠি করা হয়েছে। তিনি আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছেন। সেখানে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের নাম রয়েছে। বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান আসলে দল বিবেচনা করে নয়, অতিথিদের সম্মান জানানো হয়েছে।’

শরিসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাশেদুল ইসলাম দাওয়াতপত্রটি ফেসবুকে শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘আজ একটি জিনিস দেখে খুবই অবাক লাগল। আমাদের বহলাডাঙ্গা হাই স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলা আগামী ২৯ ও ৩০ তারিখ। এখানে একটা চিঠি ইস্যু করা হয়েছে, ১৭ জনের নামের মধ্যে ১০-১১ জনই আওয়ামী লীগ, শুধু আওয়ামী লীগ বললেই হবে না, এখানে আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, থানা কমিটির মেম্বার সবাইকেই রাখা হয়েছে। সরিষা ইউনিয়নে কি আমাদের বিএনপির লোকজন নাই? আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এটা আমরা সাধারণ বিএনপি জানতে চাই।’ শরিসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজাউল আলম হুমায়ুন বলেন, ‘আমিসহ সাবেক প্রধান শিক্ষক মিলেই এ চিঠি করা হয়েছে। আমি একটা সালিসে আছি, পরে কথা বলব।’

এ ব্যাপারে পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। সব স্কুলের দাওয়াতপত্রও আমরা পাই না।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে