এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বসতঘরে জ্বলছে আগুন, চার দেওয়ালের মাঝে আটকা পড়েছে এক স্কুলছাত্র। হাতুড়ি, কুড়ালসহ বিভিন্ন ভারী বস্তু দিয়ে ঘরের দেওয়াল ভেঙে সেই স্কুলছাত্রকে উদ্ধার করে কয়েকজন যুবক ও এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লা পাড়ায় হাসেম বেপারীর বাড়িতে এ আগুনের ঘটনা ঘটে।
উদ্ধারকৃত নিতুন (১৪) দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাকে দগ্ধ অবস্থায় বের করে গোয়ালন্দ উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
জানা গেছে, আগুনে দগ্ধ হয়েছেন আরও ২ জন। পুড়ে গেছে বড় একটি চৌচালা টিনশেড ঘর এবং ঘরের ভেতরে বসবাসকারী ৪ ভাড়াটিয়ার সব মালামাল। এতে সর্বমোট ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৫/২০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত ৪ জন ভাড়াটিয়া হলেন দীন বন্ধু, কাঞ্চন বিশ্বাস, পলাশ ও জাহিদুল ইসলাম।
ফায়ার সার্ভিসের অগ্নি নির্বাপন গাড়ি ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সরকারি গোয়ালন্দ কামরুল ইসলাম কলেজের পাশে সড়কের মধ্যে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় এবং অপরিকল্পিত একটি ভবনের দেয়ালের জন্য দ্রুত সময়ে ঘটনাস্থলেই পৌঁছাতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া দীনবন্ধুর ঘর থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন আশপাশের মোট ৪টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আশপাশের প্রতিবেশীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আগুন নেভাতে চেষ্টা করতে থাকেন। এর মধ্যেই ঘরে নিতুন আটকে পড়ে। তাকে দেয়াল ভেঙে উদ্ধার করা হয়। সে বাড়ির ভাড়াটিয়া ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার নিমাই সরকারের ছেলে। আগুনে আরও দগ্ধ হয়েছেন ভাড়াটিয়া জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী সোমা বেগম (৪০) এবং অজ্ঞাতনামা আরও একজন। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংবাদ পেয়ে গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের টিম লিডার মো. সাবেকুল ইসলাম বলেন, বৈদ্যুতিক শার্ট শার্কিট হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আমরা সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সরকারি কামরুল ইসলাম কলেজ সংলগ্ন সড়কের মধ্যে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী ফেলে রাখায় এবং অপরিকল্পিত একটি ভবনের দেয়ালের জন্য আমাদের গাড়ি ঘটনাস্থলেই পৌঁছাতে পারেনি। পরে পাইপ টেনে নিয়ে আমরা কাজ শুরু করি।