রাজশাহী: সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমকে নিয়ে ফেসবুকে ‘কটূক্তি’ করার অভি'যোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক কাজী জাহিদুর রহমানকে গ্রে'ফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দিনগত রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের আবাসিক ভবন পূর্ব-১৩ নম্বর বাসা থেকে তাকে গ্রে'ফতার করা হয়। এর আগে রাতে কাজী জাহিদের বিরু'দ্ধে আইসিটি আইনে একটি মামলা করেন আইনজীবী তাপস কুমার সাহা।
মতিহার থানার ওসি মাসুদ পারভেজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিছু আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরের আগেই গ্রেফ'তার রাবি শিক্ষক কাজী জাহিদকে আদালতে পাঠানো হবে।
অভি'যোগে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম গু'রুতর অসুস্থ হয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে জীবনসং'কটে থাকাকালীন রাবির আওয়ামীপন্থী শিক্ষক বলে পরিচিত কাজী জাহিদুর রহমান তার ফেসবুক পাতায় একাধিক পোস্ট দিয়ে অশা'লীন ও কু'রুচিপূর্ণ ভাষায় মন্তব্য লেখেন।
দলের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা সম্পর্কে অশা'লীন মন্তব্যের প্র'তিবাদে সরব হন রাজশাহীর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এমনকি শিক্ষকরাও এ প্র'তিবাদে শামিল হন। জাহিদকে ক্ষমা চেয়ে তার মন্তব্য বিমোচন করারও দাবি তোলেন ও নিন্দার ঝড় প্রবল হয়ে ওঠে। এর পরও জাহিদ তার মন্তব্যে অনড় থাকলে বুধবার রাতে আইসিটি আইনে মামলাটি করেন আইনজীবী তাপস কুমার সাহা।
রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও ফয়সাল আহমেদ রুনু অভি'যোগে বলেন, রাবি শিক্ষক কাজী জাহিদ জ্যেষ্ঠ আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে খুবই অশা'লীন ভাষায় বিষোদগার করেন নিজের ফেসবুক পাতায়। এই শিক্ষকের বিরু'দ্ধে শা'স্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গত ১৫ জুন রাবি ছাত্রলীগ ভিসি প্রফেসর এম সোবহানের কাছে স্মারকলিপি দেন।
এর আগে কাজী জাহিদের বিরু'দ্ধে দ্রুত আইনানুগ পদক্ষেপ নিতে দাবি জানিয়ে বিবৃতি দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-২ আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।