আ.লীগের মিছিলে পুলিশের গুলি
রাজশাহী : রাজশাহী মহানগরীতে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিলে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও যুবলীগের ৪ নেতাসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনা ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর সিপাইপাড়া ফায়ার সার্ভিসের মোড়ে।
আহতরা হলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি এনামুল, ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস এবং ছাত্রলীগ নেতা নাদিম, নাসিম, রকি, রাজু, সজল ও মাহফুজ।
এদের মধ্য ছাত্রলীগ নেতা রনিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে নগরীর কেশরপুর স্কুলের পাশে ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিকনিকের আয়োজন করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজপাড়া থানার এসআই মাহবুবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সেখানে যান। এসময় তিনি তাদের পিকনিক করতে নিষেধ করেন।
আওয়মী লীগ নেতারা তাকে জানান, খুব শিগগিরই তারা পিকনিক শেষ করবেন। পরে তারা চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর এসআই মাহাবুব আবারো সেখানে গিয়ে ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তারা জানান, নেতাকর্মীদের আটকের খবর পেয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হীমাদ্রী প্রসাদ রায় লিটন রাজপাড়া থানায় যান। সেখানে এসআই মাহাবুব ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে কথা বলার সময় রাজশাহীর রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হাজতে আটকে রাখে।
এ খবর পেয়ে থানা আওয়ামী লীগের নেতারা রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজপাড়া থানায় গিয়ে হিমাদ্রীকে মুক্ত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে নগরীর সিঅ্যান্ডবি মোড়ে রাজপাড়া থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসআই মাহাবুব ও ওসি মাহমুদুর রহমানের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলটি নিয়ে তারা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের দিকে রওনা দেয়।
মিছিলটি নগরীর সিপাইপাড়া ফায়ার সার্ভিসের মোড়ে পৌঁছলে পুলিশের একটি দল পেছন থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে আহত হয় কয়েকজন।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে সুরাহা করা হবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার একেএম নাহিদুল ইসলাম জানান, রাতে পিকনিকের নামে উচ্চস্বরে গান বাজাচ্ছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পুলিশ এতে নিষধ করলেও তারা শুনেননি। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ঘটনার জেরে সন্ধ্যায় ৬টার পরে সিঅ্যান্ডবি মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জড়ো হয়ে এক পুলিশ সদস্যের অপসারণ দাবি করে বিক্ষোভ করে। এসময় তারা বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরে তারা সিপাইপাড়া এলাকায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়ে আবারো তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ১জানুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম
�