এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বিয়ের দাবিতে রাজশাহীর দুর্গাপুরে এক বাড়িতে এসে অনশন শুরু করেছেন এক নারী (৩০)। নাজমুল হক নামে ওই বাড়ির এক যুবককে তার প্রেমিক বলে দাবি করছেন তিনি। বিয়ে না করলে নাজমুলের বাড়িতে আমরণ অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।
রোববার (৬ এপ্রিল) সকাল থেকে প্রেমিক নাজমুলের বাড়ি গিয়ে তার দরজার পাশেই অবস্থান করছেন ওই নারী। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন তিনি। ‘প্রেমিকা’র আসার খবরে নাজমুল বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
দুর্গাপুরে উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের তালপট্টি গ্রামের মোতালেব হোসেন মাতোর ছেলে প্রেমিক নাজমুল।
অনশনে থাকা ওই নারী সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর এলাকার বাসিন্দা। তবে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি গাজীপুরের এক পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। তার একটি পুত্রসন্তানও রয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, গাজীপুরের গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করা অবস্থায় এক বছর আগে নাজমুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথোপকথন শুরু হয়। এক পর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে নাজমুল বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শা'রীরিক সম্পর্ক করেন। এরপর বিয়ের কথা বললে গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) তাকে সিরাজগঞ্জ থেকে রাজশাহীর বানেশ্বরে নিয়ে আসেন।
সেখানে একটি বাসায় তার সঙ্গে আবারও শা'রীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরে তার কাছে যা টাকা ছিল সব নিয়ে বানেশ্বর বাজারে এসে কাজীকে ডেকে বিয়ে করবে বলে সটকে পড়েন নাজমুল। এরপর ঠিকানা অনুযায়ী নাজমুলের গ্রামের বাড়ি গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন জোসনা।
এখানে আসার পর প্রেমিক নাজমুলের বাড়ির লোকজন শা'রীরিক নির্যাতন করেছেন বলেও অভিযোগ করেন এই নারী।
তিনি বলেন, দাবি না মানলে তিনি এখানেই আ'ত্মহ'ত্যা করবেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই নারী সেখানেই অবস্থান করছিলেন।
স্থানীয় ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাজেনা বিবি বলেন, ঝালুকার তালপট্টি গ্রামে নাজমুলের বাড়িতে অনশনে থাকা এক নারীকে মারধর করা হয়েছে এমন খবর শুনে ঘটনাস্থলে দুইজন গ্রাম পুলিশ পাঠাই। তবে স্থানীয় মাতব্বর এলাকায় বসে বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে জানিয়েছেন।
রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুরুল হোদা বলেন, এই বিষয়ে এখনও কিছুই জানি না। তবে এমন কিছু হলে বা অভিযোগ পেলে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব।