ইলিয়াস আরাফাত : বাবা সংবাদপত্র হকার। বাবার মতো ছেলেকেও খুব সকালে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হয়। মানুষের বাড়ি বাড়ি তাজা খবর পৌঁছে দেয়ার কাজ তারও। বাবা-ছেলে মিলে পত্রিকা বিক্রি করে যা আয় তা দিয়েই চলে সংসার। এরকম অভাবের মধ্যেও নিজের লেখাপড়া চালিয়ে গেছে তৌহিদুল ইসলাম ইমন।
আদম্য ইমন এবারে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। দরিদ্রতাকে জয় করে ইমনের এগিয়ে চলায় তার বাব-মা খুব খুশি।
ইমন রাজশাহী সংবাদপত্র শ্রমিক নেতা দুলাল হোসেনের বড় ছেলে। মসজিদ মিশন একাডেমি স্কুল বিনোদপুর শাখা থেকে বিজ্ঞান বিভাগে তৌহিদুল ইসলাম ইমন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বাবা দুলাল হোসেনের সঙ্গে ইমন সংবাদপত্র বিক্রির কাজ করে থাকে। সংসারে বাবার কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করার জন্য ইমন অনেক আগে থেকেই পত্রিকা বিক্রির পেশায় নেমেছে। সংবাদপত্র শ্রমিকের কাজ করে সংসার ও লেখাপড়া একসঙ্গে চালিয়ে গেছে ইমন।
ভালো ফলাফলের পরেও মেধাবী তৌহিদুল ইসলাম ইমনের মনে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইমন তিন ভাই-বোনের মধ্যে বড়।
ইমনের বাবা দুলাল হোসেন জানান, তার সম্বল বলতে নগরীর বুধপাড়ায় ২ শতাংশ জমির উপরে একটি বাড়ি। পত্রিকা বিক্রি করে তাদের সংসার কোনোভাবে চলে। ভালো কলেজে কীভাবে ইমনকে পড়াবেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তিনি।
ইমনের মা জেসমিন বেগম জানান, ভোরে সাইকেল নিয়ে বাবার সঙ্গে বেরিয়ে যায় ইমন। বাড়ি বাড়ি পত্রিকা বিলি করে বাড়ি ফিরে ইমন বিদ্যালয়ে যেতো। অর্থের অভাবে প্রাইভেট পড়াতে পারিনি।
কোনো হৃদয়বান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা পেলে হতদরিদ্র ও মেধাবী ইমন উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেতো। -বাংলামেইল
১৩ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস