শেরপুর: শেরপুরে এবার নতুন করে করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রা'ন্ত শনা'ক্ত হয়েছেন সদর ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাঁকে নিয়ে ২৬ পুলিশ সদস্য সহ জেলায় মোট করোনা আক্রা'ন্ত শনা'ক্তের সংখ্যা এখন ২৪৮।
শুরু থেকেই করোনা প্র'তিরোধে সম্মুখ সারির যো'দ্ধা হিসেবে মাঠে-ময়দানে কাজ করছিলেন ওসি মামুন। এর আগে একবার নমুনা পরীক্ষায় নেগেটিভ হলেও ২ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে শেরপুরের ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় কেবল ওসি মানুনেরই ‘কভিড-১৯ পজিটিভ’ ধ'রা পড়েছে।
এ নিয়ে ২৬ পুলিশ সদস্য সহ জেলায় মোট করোনা আক্রা'ন্ত শনা'ক্তের সংখ্যা এখন ২৪৮। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২০১ জন এবং মৃ'ত্যুবরণ করেছেন ৩ জন। শেরপুরে নমুনা পরীক্ষার তুলনায় করোনা আক্রা'ন্তের হার ৭ শতাংশ, সুস্থ্যতার হার ৮১ শতাংশ এবং মৃ'ত্যুর হার মাত্র ১ দশমিক ২ শতাংশ বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ।
গত ৫ এপ্রিল শেরপুরে প্রথম দুই নারীর দেহে ‘কভিড-১৯ পজিটিভ’ ধ'রা পড়ে। উপজেলা ভিত্তিক বিশ্লেষনে দেখা যায়, করোনা আক্রা'ন্তের সংখ্যায় শেরপুর সদরের অবস্থান শীর্ষে। এ উপজেলায় আক্রা'ন্তের সংখ্যা ইতোমধ্যে সেঞ্চুরি পার করেছে। মোট আক্রা'ন্তের সংখ্যা ১০২। এরপরেই নালিতাবাড়ীর অবস্থান। এ উপজেলায় হাফসেঞ্চুরি পার করে আক্রা'ন্তের সংখ্যা এখন ৫৩। এছাড়া নকলায় ৪৭, ঝিনাইগাতীতে ২৫ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ২১ জন রয়েছেন। আক্রা'ন্তদের মধ্যে ৯ চিকিৎসক, ৩ নার্স সহ ৩২ জন ¯^াস্থ্যকর্মী, ২৫ জন পুলিশ সদস্য ও একজন সাংবাদিক রয়েছেন।
সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. আনওয়ারুর রউফ করোনা সং'ক্রমণরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। আর বাইরে বের হওয়ার প্রয়োজন হলে সকলকে নাকে-মুখে মাস্ক পড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।