এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শেরপুর শহরের নয়ানী বাজারে চলছিল বিশেষ টাস্কফোর্সের মনিটরিং। সেখানে টাস্কফোর্সের সদস্যদের প্রশ্নের জবাবে এক খুচরা বিক্রেতা কাঁচামরিচ ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির কথা জানান।
কিন্তু তাঁর দোকানের দৈনিক মূল্য তালিকায় কাঁচামরিচের বাজার দর লেখা না থাকায় ভোক্তা অধিকার আইনের ৩৮ ধারায় ওই দোকানিকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেখানে বাজার করতে আসা এক নারী ক্রেতা টাস্কফোর্সের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পাশের এক দোকানি থেকে ২৫০ গ্রাম মরিচ কিনেছেন তিনি, যার দাম নিয়েছে ৬০ টাকা। সঙ্গে সঙ্গে টাস্কফোর্স সেই দোকানির কাছে গিয়ে বেশি দামে মরিচ বিক্রির জবাব চান।
কিন্তু দোকানের মালিক ইতোমধ্যে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যান। তবে সেই দোকানে বসা এক কর্মচারী ৬০ টাকায় ২৫০ গ্রাম মরিচ বিক্রির কথা টাস্কফোর্সের কাছে স্বীকার করে ক্ষমা চায় এবং বিক্রেতা নারীকে অতিরিক্ত ১০ টাকা ফেরত দেয়। ওই দোকানিকে সতর্ক করে ভবিষ্যতে এভাবে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে সচেতন করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো বাজারে কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
আজ রবিবার দুপুরে শেরপুর শহরের স্টেডিয়াম মার্কেটের পাইকারি আড়ত এবং নয়আনী বাজারে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় নিত্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারের মূল্য তালিকা, ক্যাশমেমো, মুনাফার পরিমাণ তদারকি করা হয়। মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করার অভিযোগে মেসার্স মমিন ট্রেডার্স, রোমান এন্টারপ্রাইজ ও খালেক স্টোরকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ বাজার মনিটরিং করা হয়। এতে অংশ নেন অতিরিক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক, ক্যাব সাধারণ সম্পাদক হাকিম বাবুল। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা।
শেরপুর জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আরিফুল ইসলাম জানান, অনেক ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে বাজার মূল্য লেখা না থাকায় সতর্কীকরণ এবং জরিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।