পরকীয়া দেখে ফেলায় গ্রাম্য মাতব্বরের রোষানলে পড়েছে দরিদ্র একটি পরিবার। মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে ছেলেকে জেল খাটিয়েছেন। এরপরও ক্ষান্ত হননি গ্রামের ওই মাতব্বর। এখন স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে শ্লীলতাহানির হুমকি দিচ্ছেন তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার শেরপুর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ধুনট উপজেলার কুঁড়িগাতী গ্রামের রমজান আলী সেখের স্ত্রী বাছেনা খাতুন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার ছেলে সোহাগ বাবু ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করেন। আর এই সুযোগ নেন গ্রাম্য মাতব্বর আবু হাসেম। ছেলের বউয়ের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। এমনকি ছেলের ঘরের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা হয় তাকে।
কিন্তু তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাইনি। তবে আপোষ-মিমাংসার মাধ্যমে ছেলে সোহাগ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ওই গ্রাম্য মাতব্বর।
এরই ধারাবাহিকতায় বিগত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মারপিট করা হয় তার ছেলেকে। সেইসঙ্গে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার ওপর চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। পরবতীতে চুরির নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে থানায় সোপর্দ করা হয় ছেলে সোহাগকে। বেশ কয়েকদিন জেলহাজতে থাকার পর বর্তমানে জামিনে আছেন সোহাগ।
তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় ছেলেকে জেল খাটিয়েও ক্ষান্ত হননি মাতব্বর আবু হাসেম। তার বাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তারা। বিশেষ করে স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে শ্লীলতাহানির হুমকি-ধামকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সংবাদ সম্মেলনে ন্যায় বিচারসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।