শেরপুর থেকে : দেশের মানুষের স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে হাতে অস্ত্র নিয়ে তিনি হানাদার বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পর ঠিক সেই হাতে তিনি মাইক নিয়ে প্রতিদিন উপজেলাজুড়ে ঘুরে ঘুরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণ মানুষকে সতর্কতার বাণী শোনাচ্ছেন।
তিনি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম জিন্নাহর এই তৎপরতা প্রশংসা কুড়াচ্ছে। দেশের জন্য এবং রাজনীতির জন্য তার ত্যাগ এলাকার মানুষের কাছে তাকে শ্রদ্ধাভাজন করে তুলেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে দীর্ঘ ৮টি বছর অন্ধকার কারাগারে বন্দী ছিলেন। তার জীবন ও যৌবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন।
এখন পর্যন্ত নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসের সচেতনতায় তার এই উদ্যোগ সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে। গত ২৩ জুলাই থেকে সারা দেশে ১৪ দিনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর লকডাউনের কর্মসূচি ঘোষিত হয়। গত বছরের লকডাউনের উপজেলায় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান।
করোনাভাইরাসের সাথে লড়াই করতে গিয়ে নিজেও আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েই এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সাধারণকে সচেতন করতে উঠেপড়ে লাগেন। নকলা উপজেলার সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় তিনি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে মাস্ক ও হ্যান্ডসেনিটাইজার বিতরণ করেছেন। তাছাড়া করোনায় কর্মহীন মানুষের জন্য খাদ্যসামগ্রী দিয়ে যাচ্ছেন। এবার তিনি প্রতিদিন অটোরিকশায় চেপে মাইক হাতে শহরের অলিগলিতে ও গ্রামের মেঠোপথে করোনার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন পরামর্শ ও সতর্কবাণী তুলে ধরেছেন।