মঙ্গলবার, ০৪ জানুয়ারী, ২০২২, ১০:১৭:৪৪

মেয়ে কাঁদেন একটি ওষুধের জন্য, বাবার কান্না জীবন রক্ষার!

মেয়ে কাঁদেন একটি ওষুধের জন্য, বাবার কান্না জীবন রক্ষার!

হাসপাতালের বিছানায় জুঁই। ছটফট করে কাঁদছে বাবার কাছে একটি ওষুধের জন্য। কেঁদে কেঁদে বলছে, 'বাবা তুমি আমার জন্য বড়ি আনছ। আব্বা আমারে তুমি চিকিৎসা করলা না, আমি কি বাঁচুম না!'

মেয়ের এমন কথায় তাকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদেন বাবা জহুরুল ইসলাম। একদিকে মেয়ের জীবন সংকটে, অন্যদিকে নিজের জীবন রক্ষার একমাত্র অবলম্বন ভ্যানের দুটি ব্যাটারিও নষ্ট। তাই মেয়ের ওষুধ কিনতে এবং দু'মুঠো খেয়ে জীবন রক্ষার পথ খুঁজে পাচ্ছেন না জহুরুল।

এমন হৃদয়বিদারক দৃশ্যের দেখা মেলে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। মেয়ের জীবন বাঁচাতে একটি ওষুধ আর জীবন রক্ষার তাগিদে ভ্যানগাড়ির দুটি ব্যাটারির কান্না সমাজের কারো চোখে পড়ে না। 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি জুঁই (১৩) নকলা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। তার অবর্ধক রক্তশূন্যতা দেখা দিয়েছে। অবর্ধক রক্তশূন্যতায় তিন ধরনের র'ক্তকোষের (লোহিতকণিকা, শ্বেতকণিকা এবং অণুচক্রিকা) উৎপাদনই হ্রাস পেয়েছে তার।

চিকিৎসক জুঁইকে প্রতিদিন একটি করে ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যার প্রতিটি ওষুধের মূল্য ৯৬০ টাকা বলে জানিয়েছেন জুঁইয়ের বাবা।

জুঁই নাকলা পৌরসভার জালালপুর গ্রামের জহুরুলের মেয়ে। জহুরুল পেশায় একজন ভ্যানচালক। দুই মাস ধরে মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তিনি। এখন বিভিন্ন মানুষের সাহায্যের ওপর চলছে জীবন। এরই মধ্যে আয়ের একমাত্র সম্বল ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দুটি ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে।  

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে