শেরপুর : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে সাবিনা ইয়াসমিন (৩৫) নামে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীকে সপ্তম বিয়ে করায় স্বামীর সাথে বাকবিতণ্ডায় প্রকাশ্যে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন চতুর্থ স্ত্রী আছমা খাতুন (৪৫)। সোমবার রাতে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, নালিতাবাড়ীর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক নূর হোসেন সরকার (৭৮) উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের মৌয়াকুড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এ পর্যন্ত বিয়ে করেছেন ছয়টি।
সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী বনকুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনকে (৩৫) গত ১১ নভেম্বর রাতে রেজিস্ট্রি বিহীন বিয়ে করেন। সপ্তম বিয়ে করায় চতুর্থ স্ত্রী আছমা খাতুনের সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয়। ওই অভিমানে তিন সন্তানের জননী আছমা খাতুন সোমবার সকালে (১৩ নভেম্বর) স্বামীর সামনে বিষ পান করে।
পরে বাড়ির লোকজন তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০ টার সময় মারা যায় সে। পরে তার লাশ বাবার বাড়ী শেরপুরে নিয়ে দাফন করা হয়।
স্থানীয় হাসমত আলী বলেন, টাকার গরমে সে একাধিক বিয়ে করে। চরিত্রহীন এই লোকটি তার ছেলের শাশুড়িসহ ৬ থেকে ৭টি বিয়ে করেছে। সম্প্রতি তার দূর সম্পর্কের ভাতিজীকে বিয়ে করে। এর প্রতিবাদ করে বিচার না পেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নূর হোসেনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. নুর ইসলাম বলেন, ওই লোক অনেক বিয়ে করেছে। আর মহিলাটি বিষ খাওয়ার পর নালিতাবাড়ী হাসপাতালে মারা যায়। মহিলার বাবার বাড়ী শেরপুরে লাশ নিয়ে যায়।
চিকিৎসক আশরাফুন্নাহার বলেন, আছমা নামে বিষ খাওয়া রোগীটি সকালে ভর্তি হয়, পরে রাত সাড়ে ১০ টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, এ ব্যাপারে আমরা কোন কিছুই জানি না।