শেরপুর : শেরপুরে চিতাবাঘের থাবায় আহত শ্রীবরদী পৌরসভার মেয়র আবু সাইদের মুখমণ্ডলে প্রথম দফা সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল বুধবার রাতে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা।
তিনদিন পর আবার শরীরের অন্য স্থান থেকে মাংস কেটে নিয়ে ডানগালের ক্ষতস্থান ভরাট করতে অস্ত্রোপচার করা হবে বলে চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহবুবুর রহমান সুজা।
এদিকে শেরপুর জেলা প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে পিটিয়ে হত্যা করা চিতাবাঘটির ময়নাতদন্তের পর ওই কার্যালয় চত্বরেই মাটিচাপা দেয়া হয়েছে।
শ্রীবরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ বি এম আব্দুর রউফ স্থানীয় বন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মৃত চিতাবাঘটির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন। এ সময় বাঘটির চামড়া, পাকস্থলি এবং শরীরের প্রয়োজনীয় অংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য রেখে দেয়া হয়।
এ কথা জানান সহকারী বন সংরক্ষক মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। বন্যপ্রাণী নিহতের ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান। শ্রীবরদী থানার ওসি এস আলম জিডি রেকর্ড করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীবরদী উপজেলার তাঁতীহাটি ইউনিয়নের ষাইট কাকড়া এলাকায় সীমান্তে গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা একটি চিতাবাঘ নবনির্বাচিত পৌর মেয়র মো. আবু সাঈদের (২৯) ওপর হামলে পড়ে।
এতে গুরুতর আহত হন তিনি। চিতাবাঘটি মেয়রের ওপর হামলে পড়ে মুখের ডান পাশে ও মাথায় থাবা দিয়ে মাংস ছিঁড়ে নেয়। স্থানীয়রা পৌর মেয়রকে বাঘটির কবল থেকে উদ্ধার করে বাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। পরে পুলিশ মৃত বাঘটিকে উদ্ধার করে বন বিভাগের হেফাজতে দেয়। আহত মেয়রকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শেরপুর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রেজাউল করিম চৌধুরী জানিয়েছেন, মৃত বাঘটি লেজসহ দৈর্ঘ্যে আট ফুটের মতো। এটি চিতাবাঘ প্রজাতির। একসময় বাংলাদেশের বনাঞ্চলে এ ধরনের চিতাবাঘ দেখা যেত। শেরপুরের বনাঞ্চলে এ ধরনের বাঘের অস্তিত্ব নেই। বাঘটি খাবারের সন্ধানে ভারত থেকে লোকালয়ে নেমে আসতে পারে বলে জানান তিনি।
১১ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম