এমরান হাছান রাব্বি, শেরপুর থেকে : কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আইনের শাসনে বিশ্বাসী শেখ হাসিনা। আইন মেনেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি দিতে পারতেন। হাইকোর্টের রায় ছিল। কিন্তু তিনি বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার জন্য একদিকে ধৈর্য ধরছেন, অন্যদিকে আইনের বিচারে গেছেন।
তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও আইনের নিজস্ব গতিতে চলছে। আন্তর্জাতিক বিশ্ব সেটা দেখেছে। যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘ, আমেরিকা ও সৌদি আরব চাপ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা ন্যায় বিচারের স্বার্থে কোনো চাপের কাছে মাথানত করেননি।
বুধবার দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দরিদ্র মানুষের মাঝে বিশেষ ভিজিএফ চাল বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, আজ ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশের বিচারকদের আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক শালিস আদালতে বাংলাদেশের দুজন বিচারপতি নিয়োগ পেয়েছেন। এটা দেশের জন্য গর্বের।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে শান্তির দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়। আর বেগম জিয়া ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশ খুনিদের দেশ, হওয়া ভবনের দেশ, বাংলা ভাইয়ের দেশ ও জঙ্গীদের দেশ হিসেবে পরিচিতি পায়।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ জলবায়ু সংস্থা চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ, সারা পৃথিবীর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ঘোষণা করেছে। বন্যা, সাইক্লোন ইত্যাদি দুর্যোগে এখন আমরা পৃথিবীর কাছে হাত পাতি না। ২০১০ সালে আইলা হলো, পৃথিবীর কারও কাছে হাত না পেতে নিজেরাই মোকাবেলা করেছি।
জাতিসংঘে এবার চারটি মিটিংয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কো-চেয়ারম্যান হবেন- এটা আমাদের জন্য গৌরবের বলে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
কৃষিমন্ত্রী এদিন নালিতাবাড়ীর ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১০ হাজার হতদরিদ্রের মাঝে ভিজিএফের চাল বিতরণ করেন।
এ সময় শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল, পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. আব্দুস সালামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২৩ সেপ্টেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর