রোববার সকাল ১১টার দিকে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
এতে সভাপতিত্ব করেন শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিরের ডেপুটি কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক।
১ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার ৫ শতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সমন্বয়কারী সাবেক আইজিপি আব্দুল হান্নান খান, প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ সিমন, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক রাম চন্দ্র দাস, পুলিশ সুপার সাঈফুল্লাহ আল মামুন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃনৃন্দ, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সারাদেশে পেট্রেুলবোমা হামলার জন্য খালেদা জিয়ার বিচার করা হবে। বর্তমান সরকার সেটা বাস্তবায়ন করবে ইনশাল্লাহ।
মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সব যুদ্ধাপরাধীর অবশ্যই বিচার করা হবে এবং তাদের ঢাকা শহরের কোথাও জানাজা পরতে দেয়া হবে না। যারা গ্রামে থাকবে তাদের জানাজা না করতে দেয়ার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে। কারণ ১৯৭১ সালে লাখ লাখ শহীদের মরদেহ পথেঘাটে পড়েছিল, তাদের নামাজে জানাজা পরানো যায়নি।
মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের সুযোগ সুবিধার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হলেই চলবে না, সে জয় বাংলা বলে কিনা সেটাও দেখতে হবে।
দেশের সব মুক্তিযোদ্ধার কল্যাণের জন্য সরকারের বহুমুখী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাস থেকে সব মুক্তিযোদ্ধাকে ১০ হাজার টাকা করে ভাতা প্রদান করা হবে। প্রত্যেক ঈদে মুক্তিযোদ্ধাদের বোনাস দেয়া হবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রতি উপজেলায় ১ শ' ২৫ জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাকে পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়া হবে। কোনো মুক্তিযোদ্ধাকে বীনা চিকিৎসায় মরতে দেয়া হবে না।
২ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর