টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে দশম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের তিনদিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। সেই সঙ্গে অপহরণ মামলা তুলে নিতে ছাত্রীর পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে অপহরণকারীরা। বড় বোনকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এখন ছোট বোনকেও তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে তারা।
একই সঙ্গে ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মির্জাপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন অপহৃত ছাত্রীর বাবা শহীদ সিদ্দিকী। অপহৃত ছাত্রীর বাড়ি উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামে।
লিখিত বক্তব্যে শহীদ সিদ্দিকী জানান, তার মেয়ে ইসরাত জাহান সাদিয়া মির্জাপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামের আকতার হোসেনের ছেলে কাওছার আহমেদ জিএম প্রায়ই বিরক্ত করত এবং কুপ্রস্তাব দিত। কাওছার তার বাবা-মায়ের সঙ্গে মির্জাপুরে ভাড়া বাসায় থাকে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেয়েটিকে তুলে নেয়ার হুমকি দেয় কাওছার।
গত ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাদিয়া বাড়ির পাশেই তার চাচার বাড়ি যাচ্ছিল। তখন কাওছার এবং তার সহযোগীরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাদিয়াকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। সাদিয়ার চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে আসলেও তাকে উদ্ধার করা যায়নি।
এ ঘটনায় সাদিয়ার বাবা শহীদ সিদ্দিকী বাদী হয়ে ওইদিনই মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে উদ্ধার অভিযানও চালান। পরে মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের গড়িমসি। পরে বিভিন্ন তদবিরের মাধ্যমে পরের দিন মামলা নেয় পুলিশ। মামলা নিলেও পুলিশের ভূমিকা রহস্যেঘেরা বলে অভিযোগ করেন ছাত্রীর বাবা শহীদ সিদ্দিকী।
এদিকে, মামলা তুলে নিতে কাওছার এবং তার সহযোগীরা অজ্ঞাত স্থান থেকে শহীদ সিদ্দিকীকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হুমকি দিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে মামলা তুলে না নিলে তার ছোট মেয়েকেও তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে তারা।
মির্জাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুল হক বলেন, ওই ছাত্রীকে উদ্ধারে পুলিশের কোনো গাফিলতি নেই। ১৯ নভেম্বর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়। ২০ তারিখে লিখিত অভিযোগের পর মোবাইল ট্র্যাকিং করে পুনরায় অভিযান চালানো হয়। মেয়েটিকে উদ্ধারে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস