সখীপুর (টাঙ্গাইল): কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরোত্তম বলেন, আমি নির্বাচনই করতে চাই না। সারাদেশ ঘুরে শেখ হাসিনাকে দেখাতে চাই তিনি নৌকা নিয়ে কতদূর যেতে পারেন। তিনি একাই বঙ্গবন্ধুর কন্যা নন আমিও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক পুত্র। আমার গায়ে বঙ্গবন্ধুর রক্ত না থাকলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ রয়েছে।
ভোট ডাকাতি দিবস পালন উপলক্ষে শনিবার বিকেলে সখীপুরে তার বাসভবনে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশে এত বড় কারাগার নেই যেখানে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা যায়। যে টাকা তছরূপ হয়নি সেই ২ কোটি টাকার জন্য বিচারক খালেদা জিয়াকে শাস্তি দিয়েছেন। আমরা ওই বিচারকের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আজকের ‘ধানের শীষ’ প্রতীক আপনাদের না! ধানের শীষ এখন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের। আমরা যখন চলে যাবো সেদিন আপনাদের প্রতীক হবে। আগামী নির্বাচন অবরুদ্ধ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবার নির্বাচন।
তিনি আরও বলেন, অনেক কথা শুনেছি। শেষ পর্যন্ত রাজাকারের খেতাব পেয়েছি। তাই গত ছয় বছরে আমি শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ ও গণভবনে যাইনি। ৭৫’র প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মিলনমেলার বিষয়ে কথা বলতে গণভবনে যাওয়ার জন্য ৯বার ফোন করে ব্যর্থ হয়েছি। পরে চিঠিও লিখেছি কিন্তু জবাব পাইনি। আগামী ৩০ ডিসেম্বরের পর ওনাকেই (শেখ হাসিনা) আমাকে চিঠি লিখতে হবে।
সভায় স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আতোয়ার রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মুহাম্মদ মনসুর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবীবুর রহমান তালুকদার বীরপ্রতিক, জেলা সভাপতি এ্যাড. রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি আব্দুল হালিম সরকার, মীর জুলফিকার শামীম বক্তব্য দেন। সভায় স্থানীয় বিএনপি নেতা ও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ মোহাম্মদ হাবীব, বাসাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, শরীফ হোসেন পাপ্পুও বক্তব্য দেন।