মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ০১:০০:৩৭

করোনা গু'জবে টাঙ্গাইলে সংসার ভা'ঙতে বসেছিলো সিঙ্গাপুর ফেরত প্রবাসীর

করোনা গু'জবে টাঙ্গাইলে সংসার ভা'ঙতে বসেছিলো সিঙ্গাপুর ফেরত প্রবাসীর

টাঙ্গাইল থেকে : করোনা ভাই'রাসের ভ'য়ে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। চীনের উহান যেন এক মৃ'ত্যুপুরী। দিনে শতাধিক মৃ'ত্যুর ঘটনা ঘটছে। নতুন করে আ'ক্রা'ন্ত হচ্ছে হাজারো মানুষ। চীনের গণ্ডি পেরিয়ে ভ'য়াব'হ এই ভাই'রাস ছড়াচ্ছে দেশে দেশে। দ্বীপ দেশ সিঙ্গাপুরে পাঁচ বাংলাদেশির শরীরে ধ'রা পড়েছে এই ভাই'রাস। করোনা আ'ত'ঙ্কের মধ্যে চীন সিঙ্গাপুরসহ আশপাশের দেশ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কেউ কেউ ফিরে আসছেন।

দেশে ফিরে বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং হয়ে আসা এসব প্রবাসীরা নিজ নিজ এলাকায় নানা বি'ব্র'তকর পরি'স্থিতিতে পড়ছেন। তাদের ঘিরে ছড়ানো হচ্ছে নানা গু'জ'ব। এমন এক ঘটনায় টাঙ্গাইলের বাসাইলে সংসার ভেঙে যেতে বসেছিলো এক প্রবাসীর। তিনি সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেন।  এলাকায় গু'জ'ব ছড়ানো হয় তিনি করোনা আ'ক্রা'ন্ত। এ কারণে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন।

এমন গু'জ'ব আর গু'ঞ্জ'নের অবশ্য সমাপ্তি হয় প্রবাসী আব্বাস আলীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর। সিঙ্গাপুর ফেরত প্রবাসী আব্বাস আলীর বাড়ি উপজেলার কাশীল ইউপি'র দেউলী মধ্যপাড়ায়। সোমবার দুপুরে আব্বাস ও তার স্ত্রী-সন্তান, মা, ভাই-ভাবীর সাথে কথা হয়। আব্বাস বলেন, ১৩ই ফেব্রুয়ারি আমি বাংলাদেশ আসি। এয়ারপোর্টে আমাদের সর্বোচ্চ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। করোনা ভাই'রাসের কোন নমুনা ধরা না পড়ার কারণে কর্তৃপক্ষ আমাকে চলে আসার অনুমতি দেন। 

বাড়িতে আসার পরের দিন বাজারে গেলে পাড়ার কিছু লোকজন আমাকে করোনা ভাই'রাসে আ'ক্রা'ন্তের মি'থ্যা অভিযোগ দেয় এবং গু'জ'ব ছড়াতে থাকে। ১৬ই ফেব্রুয়ারী বাসাইল উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গাড়ি এসে আমাকে বাসাইল হাসপাতালে ও পরে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে করোনা ভাই'রাসের কোন ল'ক্ষ'ণ ধ'রা না পরায় আমি বাড়িতে চলে আসি। 

আব্বাসের স্ত্রী মাকসুদা আক্তার বলেন, আমার স্বামী সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পরই ওই লোকেরা আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বাজারে আমার স্বামীকে জড়িয়ে করোনা ভাই'রাসের গল্প তৈরি করে এলাকায় ভী'তি ছড়াচ্ছে। অথচ আমি আমার স্বামীর সাথে সুখেই সংসার করছি। অথচ পত্রপত্রিকা ও বিভিন্ন মিডিয়ার মি'থ্যা সংবাদ দেখে সিঙ্গাপুর থেকে আমার ও আমার স্বামীর আত্মীয় স্বজনরা জি'জ্ঞে'স করছে-আমি স্বামীর সংসার ছে'ড়ে কেন চলে এসেছি।

বাসাইল উপজেলা নিবার্হী কর্মকতা শামছুননাহার স্বপ্না বলেন, করোনা ভাই'রাসের একটা আ'ত'ঙ্ক ছড়ানোয় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষা করানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তারা জানিয়েছেন, আব্বাস আলীর করোনা ভাই'রাস সং'ক্রা'ন্ত কোন সম'স্যা নেই। তবে আরো ভাল ভাবে টেষ্টের জন্য তাকে ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। 

কাশীল ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা রাজিক বলেন, এলাকায় গু'জ'ব শুনে প্রশাসনের মাধ্যমে তাকে পরীক্ষা করানো হয়েছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার সময় এয়ারপোর্টের পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা ভাই'রাসের কোন লক্ষণ পাওয়া যায়নি। বিমান বন্দরের স্ক্যানারেও তার জ্ব'রের কোন লক্ষণ মেলেনি। এলাকাবাসীর উদ্বে'গের জন্যই এমনটা হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে