বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র শনিবারও হলেই পড়ে ছিল!
আমতলী (বরগুনা): আমতলীতে চলমান এচইএসসিতে বৃহস্পতিবারের ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষার একটি উত্তরপত্র শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় আমতলী সরকারি কলেজ কেন্দ্রের ১০২ নম্বর কক্ষ থেকে উদ্ধার করেছে পরীক্ষীর্থীরা। এঘটনায় ওই কক্ষে দায়িত্বরত ৩ শিক্ষককে বহিষ্কারসহ শোকজ করা হয়েছে।
পরীক্ষার ভারপ্রাপ্ত হল সচিব ও বকুল নেছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো: মজিবুর রহমান জানান, আমতলী উপজেলায় মোট ৪২৫ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে।
এর মধ্যে আমতলী সরকারি কলেজের ১০২ নং কক্ষে ৮৭ জন ক্যাজুয়াল পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার ছিল ইংরেজি ১ম পত্রের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার ১০২ নম্বর কক্ষের পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার্থীরা যে যার মত বাড়ি চলে যান।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় ১০২ নম্বর কক্ষের পরীক্ষার্থীরা ইংরেজী দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য কক্ষে ঢুকে মেঝেতে একটি উত্তরপত্র পড়ে থাকতে দেখেন। পরে উত্তরপত্রের রোল নম্বর মিলিয়ে দেখেন এটি ইউনুস আলী খান কলেজের মালা নামের এক পরীক্ষার্থীর। ( রোল-৮২৩৮০৮, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর-১১১৫২৬৩০১৬) ওই পরীক্ষার্থী নিজেও তখন ওখানে উপস্থিত ছিল। তিনি তার উত্তরপত্র এভাবে পরে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে উত্তরপত্রটি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি মো: ইউসুব হল কর্তৃপক্ষের নিকট পৌঁছে দেন।
তিনি বলেন, ভুলবসত এটি হয়েছে এবং কর্তব্যে অবহেলার দায়ে ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নির্দেশে উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রটি আমি নিজে নিয়ে যাব।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: আনোয়ারুল আজিমের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি অপরিচিত লোকের সাথে কোন কথা বলবেন না বলে জানান।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সরোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ঘটনার সত্যতা পাই। বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রে দায়িত্বপালনকারী ৩ শিক্ষক দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা করেছেন। তারা হলেন আমতলী সরকারি কলেজের প্রভাষক সাইফুর রহমান, টিয়াখালী কলেজের সাইফুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম। তাদেরকে চলমান পরীক্ষার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ও শোকজ করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া উত্তরপত্রটি ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব মো: মজিবুর রহমানকে বোর্ডে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। যাতে পরীক্ষার্থীর কোনো সমস্যা না হয় সে বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস
