মামির বোনকে বিয়ে করতে না পেরে বরগুনায় আপন মামা ফজলু প্যাদাকে (৪৫) কু'পিয়ে আহ'ত করেছে ভাগ্নে মাহফুজ (১৮)।
গত মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পূর্ব বুড়িরচর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
বরগুনা থানার ওসি তারিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ফজলু প্যাদাকে ধা'রালো অ'স্ত্র দিয়ে মাথায় আঘা'ত করে গু'রুতর জ'খম করা হয়। পারিবারিক বি'রোধের জেরে ভাগ্নে মাহফুজ তাকে কু'পিয়েছে। গু'রুতর জ'খম ফজলুকে উ'দ্ধার করে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ফারুক মিয়া জানান, ফজলু প্যাদা ও মাহফুজ সম্পর্কে আপন মামা ভাগ্নে। মামার শালিকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া নিয়ে ভাগ্নে মাহফুজের সঙ্গে ফজলুর মতবিরো'ধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের মধ্যে সম্পর্কের চ'রম অবনতি হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাহফুজ ও তার মা কুলসুম বেগমের সঙ্গে ফজলু প্যাদার বাকবিত'ণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাহফুজ উ'ত্তেজিত হয়ে ধারালো দা দিয়ে ফজলু প্যাদার মাথায় উপর্যুপরি কু'পিয়ে জ'খম করে। এসময় এলাকাবাসী তাকে উ'দ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে আ'শংকাজ'নক অব'স্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার পরপরই মাহফুজ ও তার মা কুলসুম বেগম বসতঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিহার রঞ্জন বৈদ্য জানান, ফজলু প্যাদা নামের একজনকে জ'খম অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার মাথায় ধা'রালো অ'স্ত্রের জ'খম হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরু'তর অব'স্থায় তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।