বরিশাল: বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মুনিয়া আক্তার (১৫) নামের এক কারখানার শ্রমিককে কুপিয়ে আহত করেছে এক বখাটে। গতকাল দুপুর দেড়টায় নগরীর কলাপট্টি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মুনিয়ার দুই পা ও ডান হাত জখম হয়। ঘটনার নায়ক মো. মনির হোসেন (২৫) বিকালে স্বেচ্ছায় থানা পুলিশের কাছে ধরা দেয়।
মনির হোসেন নগরীর কলাপট্টি এলাকার ওয়াহেদ মিয়ার ছেলে ও ফলের আড়তের শ্রমিক। শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন মুনিয়া বলেছে, বছরের বেশি সময় ধরে মনির তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। এ নিয়ে মাস ছয়েক আগে স্থানীয় কাউন্সিলর মনিরকে শাসিয়ে দিলে কিছুদিন নিশ্চুপ থাকার পর মাসখানেক ধরে আবার উৎপাত শুরু করে।
আজ প্রতিদিনের ন্যায় ইলেক্ট্রিক পণ্য উৎপাদনকারী এমইপি কারখানায় ডিউটিতে রওয়ানা দিলে পথিমধ্যে কলাপট্টি ব্রিজের গোড়ায় বিয়ে করার প্রস্তাব দিয়ে তার সঙ্গে যেতে বলে। এ সময় টানাটানি করলে একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে পেটায়। এরপর পাশের দোকান থেকে দা এনে দুই পায়ের রগ কাটার জন্য কোপ দেয়। মুখমণ্ডলে কোপ দেয়ার সময় হাত দিয়ে ঠেকালে ডান হাতের আঙুল কেটে যায়। চিৎকার করলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
মুনিরার মা শিউলী বেগম বলেন, তার কন্যা পঞ্চম শ্রেণি থেকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর বখাটে মনিরের কারণে স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এমইপি কারখানায় কাজ নিলেও মনিরের উৎপাত থেকে রেহাই মেলেনি। নেশাগ্রস্ত মনির ওর প্রথম স্ত্রীকে হত্যা করেছে বলে জানান শিউলী বেগম।
কোতোয়ালি থানায় স্বেচ্ছায় ধরা দেয়া মনির বলেছে, আমার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকার পরও আমাকে অস্বীকার করলে আজকের এই ঘটনার সৃষ্টি হয়। দা দিয়ে কোপানো নয়, কলমি লতার ডাল দিয়ে মুনিয়া আক্তারকে কয়েকটা পেটানি দিয়েছি মাত্র। এ সময় সে নেশা বলতে কেবল গাঁজা সেবন করে বলে স্বীকার করেছে। আর প্রথম স্ত্রী ব্রেইনস্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানায়।
আহত মুনিয়া আক্তারের অবস্থা শঙ্কামুক্ত এবং এখানেই চিকিৎসা সম্ভব বলে জানালেন শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম। রোগীর দুই পায়ে এবং ডান হাতের আঙুলে সেলাই দিতে হয়েছে। তবে পায়ের রগের কোনো ক্ষতি হয়নি।-সমকাল
২১ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ