বানারীপাড়া (বরিশাল): বরিশালের বানারীপাড়া থানায় কর্মরত এএসআই জাহিদুল ইসলাম জাহিদ করোনাভাইরাসে মৃ'ত্যু হলে দা'ফনের জন্য ১৭ শতক জমি দান করেছেন। তার নিজ বাড়ি পটুয়াখালি জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালি ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের মরহুম ইসমাইল সিকদার কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরা এ জমি দান করেছেন কবরস্থানের জন্য।
সম্প্রতি নভেল কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে আক্রা'ন্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। এই মরণঘা'তী ভাইরাসে আক্রা'ন্ত হয়ে পটুয়াখালির জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার মধ্যে যদি কোনো মানুষ মা'রা যায় তাদের দা'ফনের জন্য জমি না থাকলে তাদের এই কবরস্থানে দা'ফন দেওয়া যাবে। এ ছাড়াও করোনাভাইরাস মহামা'রি ব্যতীত নদী ভা'ঙনকবলিত এলাকার মানুষের লা'শ এবং বেওয়ারিশ লা'শও এই কবরস্থানে দা'ফন দেওয়া যাবে বলে এএসআই জাহিদ জানিয়েছেন। এ ছাড়াও এই ফাউন্ডেশন নিজ এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সামাজিক ও মানবিক কাজ করে ইতিপূর্বে অনেক সুনাম কুড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত এএসআই জাহিদুল ইসলাম এর আগে বানারীপাড়ায় করোনাভাইরাসের বিস্তৃতিরোধে লকডাউন ও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্রদের মাঝে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও পণ্যসামগ্রী ও শিশুসহ কর্মহীনদের অলস সময় পার করতে ধর্মীয় গ্রন্থ ও খেলার সামগ্রী বিতরণ করে, কখনও গ্রামের চলাচল অনুপযোগী রাস্তার ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে চলাচল উপযোগী করে দিয়ে, কখনও সড়ক দু'র্ঘটনায় পা হারানো যুবককে হাঁসের খামার করে দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া আবার কখনও শতবর্ষী অসহায় বৃদ্ধের পাশে দাঁড়িয়ে নগদ অর্থ ও নিজের রেশনের চাল-ডাল-তেল ও চিনি দিয়ে মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এলাকায় তিনি একজন 'মানবতার ফেরিওয়ালা' পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি অর্জন করেছেন।
বানারীপাড়া থানায় কর্মরত এএসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'মানুষ মানুষের জন্য' এ ব্রত নিয়ে কাজ করছি। আমার মৃ'ত্যুর পরে সঙ্গে মানুষের দোয়া আর দাফনের কাপড় ছাড়া আর কিছুই নিয়ে যেতে পারব না। তাই আমৃ'ত্যু অসহায় মানুষের কল্যাণে কাজ করে সেই দোয়াটুকুই সঙ্গে নিয়ে যেতে চাই।