এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কলেজের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন পূজা দাস (২১) নামের এক তরুণী। বিষয়টি রহস্যজনক দাবি করে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। নিখোঁজের ৬ দিন পেরিয়ে গেলে উপজেলার প্রতিষ্ঠিত মিষ্টি ব্যবসায়ী কার্তিক দাসের নাতনি পূজা দাসকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
তবে কলেজছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার নেপথ্যে ভিন্ন কারণ রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। তাদের দাবি— প্রেমিকের হাত ধরে নিখোঁজ হতে পারে পূজা। বিষয়টি ওই তরুণীই পুলিশকে নিশ্চিত করছে বলে জানিয়েছেন আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. অলিউল ইসলাম।
নিখোঁজ পূজা দাস আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের মধ্য শিহিপাশা এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ চন্দ্র দাসের মেয়ে এবং বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্রী।
পূজা দাসের ভাই রিমন দাস বাদী হয়ে দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৯ নভেম্বর সকাল ৭টা ১০ মিনিটে বরিশাল নগরীতে কলেজে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন পূজা দাস। এরপর থেকেই নিখোঁজ রয়েছেন তিনি। সম্ভাব্য জায়গাগুলোয় খোঁজ নিয়েও সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিখোঁজ পূজা দাসের ভাই রিমন দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বলেন, জিডি করেছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগৈলঝাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, তরুণী প্রাপ্তবয়স্ক। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে একটু সন্দেহ হচ্ছে। তা ছাড়া, ওই তরুণীকে উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা শুরুর পরপরই আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে একটি খুদেবার্তা আসে। যেখানে লেখা হয়েছে, ‘আমাকে খুঁইজেন না। আমি আমার বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আছি এবং ভালোই আছি।’ তবে এর পর থেকেই সেই নম্বরটি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে মেসেজটি আদৌ সেই তরুণী পাঠিয়েছে নাকি অন্য কেউ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে আমাদের চেষ্টা চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ অলিউল ইসলাম বলেন, এটি অপহরণ কি না তা এখনো নিশ্চিত না। কেননা নিখোঁজের ডিজি হলেও কোনো ক্লু দিতে পারেনি তার পরিবার। এমনকি পুলিশের তদন্তে কোনো সহযোগিতাও তারা করছে না। এ ছাড়া, যেই নম্বর থেকে তদন্ত কর্মকর্তাকে মেসেজ দেওয়া হয়েছে সেটা বন্ধ থাকায় ট্রাকিংও করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ বিষয়ে তথ্য চেয়েছি। বিশেষ কৌশলে তার অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। আমরা তার খুব কাছেই পৌঁছেছি। আপাতত এতটুকু নিশ্চিত করতে পারছি যে মেয়েটি ভালো আছে। খুব শিগগির তাকে উদ্ধার যাবে বলেও জানান তিনি।