নিউজ ডেস্ক: জনপ্রিয়তার দিক থেকে কারও থেকে কেউ কম না। রাজনৈতিক দূরদর্শিতাও কম নেই তাদের। প্রভাব প্রতিপত্তির দিক বিবেচনা করে এলাকবাসীরা মনে করছেন এবারের নির্বাচনে দুজনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।
এবারের নির্বাচনে ভোলা-১ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন ২০-দলীয় জোটের শরিক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ। মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর মনোনয়নের চিঠি বিতরণের দ্বিতীয় দিনে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এ আসনে পার্থর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি। দশম বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন তোফায়েল আহমেদ।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এককভাবে কারো দখলে ছিলনা এ আসনটি। ১৯৯১ পরবর্তী নির্বাচনে ৩ বার তোফায়েল আহমেদ, একবার করে বিএনপির মোশারেফ হোসেন শাজাহান ও বিজেপির আন্দালিভ রহমান পার্থ বিজয়ী হয়েছেন।
তোফায়েল আহমেদকে মাত্র ২৬ বছর বয়সে কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে ১৯৭০ সালে প্রথম মনোনয়ন দেন বঙ্গবন্ধু। এরপর প্রার্থী হন ১৯৭৩, ১৯৭৯, ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে। এর মধ্যে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে ভোলা-১ থেকে ও ১৯৮৬ সালে ভোলা-২ থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ভোলা-২ আসন (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) থেকেও নির্বাচিত হন।
এদিকে ১৯৯৭ সালে লিংকনস ইন থেকে বার পরীক্ষায় পাস করে ফিরে ব্যারিস্টার রফিকুল হকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে ৩ বছর কাজ করেন ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।
২০০০ সাল থেকে তিনি তার বাবার সাথে রাজনীতিতে সক্রিয় হন। ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি ভোলা-১ আসনে চারদলীয় জোটের হয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হন।
মেঘনা, তেঁতুলিয়া আর বঙ্গোপসাগরে ঘেরা দ্বীপজেলা ভোলার সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত ভোলা-১ আসন। ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ভোলা-১ আসনে মোট ৩ লাখ ১২ হাজার ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫২ হাজার।