ভোলা : ঘটনাটি রূপ কথার গল্পের মতো মনে হলে সত্যি। দেশি জাতের একটি সাদা হাঁস আবারও কালো রঙের ডিম পেড়েছে। এ নিয়ে দুইটি কালো ডিম পাড়লো সেই হাঁসটি। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় কালো ডিমটি পাড়ে সেই হাঁস। পর পর দুইদিন এমন ঘটনায় মানুষের মধ্যে কৌতুহলের যেন শেষ নেই। উৎসুক জনতা সেই হাঁস ও ডিমগুলো দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন।
ভোলার চরফ্যাশনে ঘটেছে এমন ঘটনা। তবে কি কারণে এমনটি হচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দাসকান্দি এলাকায় আবদুল মান্নান রাঢ়ী বাড়ির সৌদি প্রবাসী আব্দুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ঘরোয়াভাবে ১১টি পাতিহাঁস পালন করেন। এর মধ্যে রয়েছে নয় মাস বয়সি একটি হাঁস।
বাকিহাঁসগুলো ৬-৭ মাসের। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে বড় হাঁসটি প্রথমবার একটি কালো ডিম পাড়ে। ডিমের রঙ গাঢ় কালো দেখে তাসলিমা মনে করেন অন্য কোনো প্রজাতির ডিম হতে পারে। তিনি ভয় পেয়ে বাড়ির অন্যন্যদের জানান।
পরে বিষয়টি এলাকায় ও আশপাশে দ্রুত জানাজানি হয়ে যায়। পরে কালো ডিম দেখতে তার বাড়িতে লোকজন ভিড় জমান। প্রথম ডিম পাড়ার ঘটনাটি জনমনে তেমন সাড়া না পড়লেও দ্বিতীয় বারের মতো হাঁসটি একই রকম ডিম দিলে ঘটনাটি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়। এর পর থেকে হাঁসটি দেখতে স্থানীয়দের ভিড় আরও বেড়ে যায়।
ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষনে রেখেছি। এক সপ্তাহ ধরে পর্যবেক্ষন করা হবে। তারপর সেই ডিমগুলো পরীক্ষার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানে হবে।
তবে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্চ্ছে অন্য কোষ জাতের সঙ্গে ক্রস বা ইনফেকশন থেকে এমনটা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, খাবারের সঙ্গে হাঁস যদি রং খেয়ে ফেলে তাহলেও এমনটি হতে পারে। তবে যাই হোক না কেন, পরীক্ষা ছাড়া আপাতত কিছুই বলা যাচ্ছে না।