এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বিধবা শামসুন্নাহার নাহার (৫০) নামের এক দাদীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ৭ লাখ টাকা কাবিনে মিরাজ নামের এক যুবক নাতির সঙ্গে বিয়ের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যেকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দাদা শাহে আলম বেপারি দেড় বছর আগে মারা যান। এরপর থেকে স্ত্রী সামছুন্নাহার তার পুত্র জসিম উদ্দিনের সঙ্গেই থাকতেন। সেই সুবাদে জসিম উদ্দিনের ছেলে নাতি মিরাজের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাদের প্রেম-ভালোবাসা চলতে থাকে।
এক পর্যায়ে দাদী ও যুবক নাতির অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা হাতে নাতে ধরে ফেলে। এনিয়ে এলাকাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।পরে স্থানীয়রা বিষয়টি ধামাচাপা ও মিমাংসার জন্য দফায় দফায় সালিশ বৈঠকে বসে কিন্তু কোনো সমাধান করতে পারেননি। পরে বুধবার দুপুরে ৭ লাখ টাকা কাবিনে ভোলা নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে কোর্ট এফিডেফিটের মাধ্যমে দাদি-নাতি বিবাহ সম্পন্ন করে।
এ বিষয়ে নাতি মিরাজ হোসেন বলেন, দাদা মারা যাওয়ার পর দাদীর দেখাশোনা করার জন্যই স্বেচ্ছায দাদীকে বিয়ে করেছি। বিয়ের বিষয়ে নাতি মিরাজের ভাই ফিরোজ জানান, দাদীকে মিরাজ বিয়ে করেছে কিন্তু আমাদের পরিবার মেনে নেইনি। তাছাড়া কোর্ট এফিডেফিটে মিরাজের বযস ২৩ বছর দেখানো হলেও তার প্রকৃত বযস ১৭ বছর।
এ বিষয়ে দাদী শামসুন্নাহার বলেন, আমার ঘরে দুই পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদেরকে মেনে নিয়েই নাতি মিরাজ হোসেন আমাকে বিয়ে করেছে। বাকি জীবনটা মিরাজের সঙ্গে কাটিয়ে দিতে চাই।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর পাটোয়ারী জানান, ঘটনা শুনেছি। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে।তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।