ভোলা : ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার জসিম উদ্দিনকে মারধর করেন তার দুই সহকর্মী। সহকর্মীরা হলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাইদুর রহমান ও মোসলেহ উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ের ভেতর ও বাইরে একাধিক দফায় খন্দকার জসিম উদ্দিনকে মারধর ও লাঞ্ছনা করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
শুক্রবার ঘটনাস্থলে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ছাইয়্যাদুজ্জামান। প্রাথমিক তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার থেকে উপজেলাব্যাপী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা সামনে রেখে বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রশ্নপত্র বিতরণ শুরু করা হয়।
এই প্রশ্নপত্র বিক্রির টাকা আদায়ের দায়িত্ব নিতে চান সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সাইদুর রহমান ও মোসলেহ উদ্দিন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার এতে সম্মতি না দেয়ায় দুই সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তারা নিজ কার্যালয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার জসিম উদ্দিনের ওপর চড়াও হন।
উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
দুই সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিকেলে নিজ কার্যালয়ে প্রথমে অফিস সহকারী আবদুস শহিদ এবং পরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার জসিম উদ্দিনকে মারধর করেন। সন্ধ্যায় সহকর্মীরা উপজেলা পরিষদ পুকুরপাড়ে দ্বিতীয় দফায় উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে মারধর করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সহকর্মীদের সব দাবি রক্ষা করা সম্ভব হয় না। কিছু অযৌক্তিক দাবি রক্ষা না করায় তারা এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ছাইয়্যাদুজ্জামান বলেন, সংশ্লিষ্টদের লিখিত বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
২২ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম