সাদির হোসেন রাহিম, তজুমদ্দিন প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিনে শনিবার রাত প্রায় ৩ টার সময় টর্নেডোর আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পুরো তজুমদ্দিন বাজার সহ চাদঁপুর ইউনিয়ন ও চৌমুহনী এলাকা। এ সময় গাছের নিচে চাপা পরে নিহত হয় দুই জন, আহত হয় প্রায় ২ শতাধিকের বেশি মানুষ। নিহতরা হলেন আকরাম (১২), রেখা (৩৫)। লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় পুরো তজুমদ্দিন এলাকা। ধ্বংশস্তুপে পরিণত হয় প্রায় ৫ শতাধিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। ক্ষয়ক্ষতি হয় কয়েক কোটি টাকার মালামাল। চারদিকে দেখা যায় শুধু ধ্বংশলীলা। টর্নেডোর আঘাতে বাতাসে উড়ে যায় প্রায় দুইশতাধিক মানুষের বসত বাড়ি। বসত বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হারানো কয়েজনের সাথে কথা বলা জানা যায় তাদের বক্তব্য, আমাদের বসত বাড়ি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সব কিছু ঘূর্নিঝড় রেয়ানুর প্রভাবে টর্নেডোর আঘাতে সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে গেছে। খোলা মাঠে পরিনত হয়েছে আমাদের বসত ভিটা। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে বাস করছি। সরকার যদি আমাদেরকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমরা পুনরায় আমাদের বসত বাড়ি ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের পুনর্বাসন করে পরিবার পরিজনদের নিয়ে দুবেলা খেয়ে বাচঁতে পারবো।
খবর পেয়ে ধ্বংসাত্বক এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান অহিদুল্লাহ জসিম ,ও উপজেলা নির্বাহি অফিসার জালাল উদ্দিন
এদিকে টর্নেডোর আঘাতের কারণে বিপর্যয়ে আছে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সহ তাদের অভিবাবক ও শিক্ষকরা। অনেক এইচ এস সি পরীক্ষার্থীর বসত ঘর টর্নেডোর আঘাতে খোলা মাঠে পরিনত হওয়ায়, আবার অনেকের বই খাতা সহ বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রি নষ্ট হয়ে যাওয়াতে তাদের পড়ালেখার প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। টর্নেডোর আঘাতে ধ্বংশ স্তুপে পরিণত হয়েছে চাদঁপুর সিনিয়র মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র ও তজুমদ্দিন ডিগ্রি কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্র।
তজুমদ্দিনের প্রধান সড়কের দুপাশে গাছ পরে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদুৎ সংযোগ। ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে গেছে ১০টি বৈদ্যুতিক খুঁটি। অপরদিকে টর্নেডোর রেশ না কাটতেই ভেঙ্গে যাওয়া বেড়িবাধ দিয়ে জোয়াড়ের পানি ঢুকে প্লাবিত হয় উপজেলার ১০টি গ্রাম। পানি বন্দি হয়ে পরে প্রায় ২০ হাজারেরও অধিক মানুষ। সব মিলিয়ে এখানকার চারদিকে সাধারন মানুষের আর্তনাদ আহাজারি ও কান্নার রোল বয়ে যাচ্ছে।
২২ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস