ভোলা : জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢালচরে ভয়াবহ বজ্রপাতে মারা গেছে ২শ' গরু। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে দক্ষিণ ঢালচরের তারুয়ার উত্তর পাশের ম্যানগ্রোভ বনসংলগ্ন সাগরপাড়ে এ ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে।
বাকের ও আজিজসহ ১০ জন গরু মালিকের প্রায় ৩শ' গরু গোয়ালে বাঁধা অবস্থায় ছিল। আকস্মিক বজ্রপাত গরুর পালে পড়লে ঘটনাস্থলে গরুগুলো মারা যায়।
বাকি ১শ' গরু দিকবেদিক ছোটাছুটি করে পার্শ্ববর্তী নদীতে লাফিয়ে পড়ে। নদীতে লাফিয়ে পড়া গরুগুলো নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হিরম্ময় বিশ্বাস।
ঢালচরের সাবেক চেয়ারম্যান কালাম পাটওয়ারী জানান, বৃহস্পতিবার সকালে গুরুর মালিক ঢালচর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মিজান ম্যানগ্রোভ বনসংলগ্ন সাগরপাড়ে গিয়ে গরুর মৃতদেহ দেখতে পান।
ঢালচরের ম্যানগ্রোভ বনে হাজার হাজার গরু-মহিষ চড়ানো হয়। দক্ষিণ ঢালচরের তারুয়ার উত্তর পাশের ম্যানগ্রোভ বনসংলগ্ন সাগরপাড়ের খোলা স্থানে ভয়াবহ এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. হিরম্ময় বিশ্বাস বলেন, বজ্রপাতে গরুর মৃত্যুর ঘটনা এটা নতুন নয়; তবে এতো গরুর মৃত্যুর ঘটনা বিরল। বজ্রপাতে একইসঙ্গে দেড়শ' গরুর মৃত্যু খুবই করুণ।
গবাদি পশু ও বন্যপ্রাণীরা খাবারের পর বন থেকে বের হয়ে নদী ও সাগরপাড়ের খোলা স্থানে দলবেঁধে থাকতে ও রাত কাটাতে পছন্দ করে।
সন্ধ্যার পর সাগরপাড়ের খোলা স্থানে গরুর একটি দল বজ্রপাতের কবলে পড়ে।
ওই কর্মকর্তা জানান, বজ্রপাতের সময় সাগরপাড়ের ওই খোলা স্থানে জোয়ারের পানি ছিল। এক বা একাধিক বজ্রপাত থেকে পানি বিদ্যুতায়িত হয়ে বিপুল সংখ্যক গরুর মৃত্যু হয়।
যাদের গরু হারিয়েছে তারা সবাই নদী সিকস্তি পরিবার। মনপুরা ও তজুমদ্দিন এবং চরফ্যাশনের মূল ভূখন্ড থেকে নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নতুন করে বাঁচার জন্য এরা এ চরে আশ্রয় নিয়েছে। আকস্মিক দুর্যোগে তাদের স্বপ্নকে বিলীন করে দিয়েছে।
এ চরে প্রায় ১০-২০ হাজার গবাদি পশু থাকলেও এদের আশ্রয় প্রয়োজনীয় আশ্রয়স্থল নেই। চরের ১৫ হাজার মানুষের জন্য আছে ১টি মাত্র আশ্রয় কেন্দ্র। তা আবার পুলিশ ফাঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
২৭ মে,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম