বগুড়া : বিয়েবাড়িতে ধরা খেল মাওলানা লুৎফর রহমান নামে এক কাজী। বগুড়ার ধুনটে পঞ্চম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে পড়ানোর অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে আটক করে ৭দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
রোববার রাতে জিঞ্জিরতলা গ্রামে বিয়েবাড়ি থেকে কাজীকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইব্রাহীমের আদালত এ সাজা প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার চন্দন কুমার ঘোষ জানান, ধুনটের পাকুরিহাটা গ্রামের জনৈক ব্যক্তির মেয়ে স্থানীয় স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার হরিনাথপুর গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে আমজাদ হোসেনের বিয়ে ঠিক হয়।
কনে নাবালিকা হওয়ায় নিজ গ্রামে বিয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তাই রোববার রাতে ধুনটের জিঞ্জিরতলা গ্রামে আত্মীয় নুর মোহাম্মদের বাড়িতে গোপনে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
ধুনটের শেহলিয়াবাড়ি গ্রামের আবদুস সোবহানের ছেলে, সদরপাড়া বালিকা মাদ্রাসার শিক্ষক ও নলডাঙ্গা জামে মসজিদের ইমাম কাজী লুৎফর রহমান বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি নেন।
রাত ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও কনেসহ দু'পক্ষের লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ কাজীকে গ্রেফতার করে।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজী লুৎফর রহমানকে ৭দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
ধুনট থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, সোমবার বেলা ১১টার দিকে সাজাপ্রাপ্তকে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
১৯ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম