এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বগুড়া সদর নারুলী এলাকার বাসিন্দা ডা. শাওন হোসেন। বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান সাভারের ধামরাইয়ে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রথমবারের মতো হেলিকপ্টার নামে বগুড়া কলেজ মাঠে। বেলা ১১টায় বর ডা. শাওন এই মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যান।
বিয়ে সম্পন্ন করে নববধূ ডা. সানজিদা জামানকে নিয়ে বিকেল ৫টায় আবারও ফিরে আসেন এই মাঠে। এ সময় উৎসুক এলাকাবাসী হেলিকপ্টার যোগে নব দম্পতির আগমন দেখতে ভিড় জমান।
ডা. শাওন হোসেন বগুড়া সদর নারুলী এলাকার আসাদুজ্জামান আসাদের এক মাত্র ছেলে। তিনি বর্তমানে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজে এফসিপিএস পার্ট টুতে অধ্যয়নরত। তার বাবা আসাদুজ্জামান আসাদ একজন সৌদি প্রবাসী।
কনে ডা. সানজিদা জামান সাভার ধামরাই এলাকার মৃত মো. মোস্তফা জামানের মেয়ে। তিনি সম্প্রতি এমবিবিএস পাস করেছেন।
ডা. সানজিদা বলেন, প্রধানত এটি আমার শ্বশুরের ইচ্ছা ছিল। আর একটা কারণ হলো আমার বাসা সাভারে। ওখান থেকে বগুড়ায় আমার এত ভারি কাপড় ও গহনা পরে আসতে কষ্ট হবে তাই সবাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এমন আয়োজনে আমি অনেক খুশি। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
এদিকে দিন দিন হেলিকপ্টার ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যেখানে বগুড়া হতে ঢাকা যেতে গাড়িতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। সেখানে মাত্র ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে ঢাকায় পৌঁছানো যায়। তাই তো উচ্চবিত্তরা হরহামেশা ব্যবহার করছেন এই উড়োজানটি। কিন্তু নিম্ন ও মধ্যবৃত্তদের কাছে কাছ থেকে দেখাটাও একটা স্বপ্ন।
জানা যায়, গত সপ্তাহে বগুড়া কলেজ মাঠ ব্যবহারে কলেজ কর্তৃপক্ষকে একটি আবেদনপত্র জমা দেন ছেলের পরিবার। এ সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে টিএমএসএস এভিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে হেলিকপ্টার বুকিং করেন তারা।
হেলিকপ্টার দেখতে আসা সাবিনা খাতুন বলেন, আনার একটা স্বপ্ন ছিল হেলিকপ্টার কাছ থেকে দেখার। আমি আগে কখনো দেখিনি। আজ প্রথম দেখলাম। এই কলেজ মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে বউ আনতে যায়। বিয়ে করে বউ নিয়ে আবার ফিরে আসেন। আমরাও দোয়া করি তারা যেন সুখে থাকে।
হেলিকপ্টার দেখতে প্রায় শতাধিক মানুষ আসেন বগুড়া কলেজ মাঠে। এমন আয়োজন দেখতে আসা আনেকই জানান, বিবাহ করবেন হেলিকপ্টারে করে। কেউ কেউ তো মেয়ের বিয়েতে হেলিকপ্টারে চেপে শ্বশুরবাড়ি পাঠানোর স্বপ্নও দেখছেন। হেলিকপ্টারে চেপে বিয়ে করে বিবাহ স্মরণীয় করে রাখতে চান তরুণ-তরুণীরাও।