এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বগুড়ার শিবগঞ্জে মহিলা যুবলীগ নেত্রী শাহানার নেতৃত্বে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন শতাধিক আ.লীগের নেতাকর্মী। মাত্র দুজন সাবেক শিবির নেতা থাকায় জামায়াত-শিবির থেকে বিএনপিতে যোগদানের সংবাদ প্রচার করা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
বিএনপিতে এ যোগদানের নামে আ.লীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। এরআগে রোববার ‘জামায়াত-শিবির থেকে শতাধিক নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এরপরই উপজেলাজুড়ে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠে। এ সম্পর্কে উপজেলা জামায়াত-শিবির নেতৃবৃন্দ আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না দিলেও ভোটের রাজনীতির একটি অপকৌশল মনে করছেন অনেকেই।
জানা গেছে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া- ২ (শিবগঞ্জ) আসনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে ময়দানহাট্টা ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দাড়িদহ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সাজু। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও এমপি প্রার্থী মীর শাহে আলম।
সভায় ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শাহানা বেগমের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী রাশেদুল ইসলাম ও মীর শাহে আলমের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে বিএনপিতে যোগদান করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেন শিবিরের ইউনিয়ন কমিটির সাবেক বাইতুল মাল সম্পাদক রেজওয়ান ও একই কমিটির সাবেক সাথী জুয়েল রানা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি ও জামায়াত নেতা জানান, জামায়াত-শিবিরের নাম করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। দুয়েকজন লোক ফুল দিয়ে যোগদান করলেও প্রচারের সময় শতাধিক শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা জামায়াত আমির মাওলানা আছার উদ্দীন আমার দেশকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতার পর মন্তব্য করবো।
বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে জামায়াত প্রার্থী মাওলানা শাহাদাতুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
এ সম্পর্কে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব বলেন, আওয়ামী লীগের সবলোক খারাপ নন। যাদেরকে নেওয়া হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের শাসনামলেও অন্যায়-নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো। তারা সরাসরি দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলো না।-আমার দেশ