বগুড়া : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলাকারী হিসেবে আইএসের দাবিকৃত পাঁচ জঙ্গির মধ্যে পঞ্চমজনের পরিচয় মিলেছে। ছবি দেখে নিজ ছেলেকে শনাক্ত করার কথা স্বীকার করেছেন বগুড়ার ধুনটের বানিয়াজান গ্রামের বদিউজ্জামান। তবে উজ্জ্বলের অজানা কথা জানে না তার পরিবার!
বদিউজ্জামানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার ছেলের নাম শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল।
বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) গাজিউর রহমান জানান, সোমবার ফেসবুকের ছবি দেখে তার বাবা বদিউজ্জামান ছেলে শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বলকে শনাক্ত করেন।
উজ্জ্বলের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বলেন, গত ৬ মাস আগে উজ্জ্বল ধুনটের বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ঢাকায় তাবলিগ জামায়াতের চিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সে। পরবর্তীতে তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সে কীভাবে ও কখন জঙ্গি হয়েছে পরিবারের জানা নেই।
স্থানীয় লোকজন বলেছে, কিছুদিন আগে উজ্জ্বল কালো পোশাক ও মাথায় পাগড়ি বেঁধে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে। ইসলামের কথা বলেছে সে। কিন্তু তাদের কখনো ধারণাই হয়নি যে, এটিই আইএসের পোশাক ছিল।
জানা গেছে, বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের বানিয়াজান গ্রামের দরিদ্র কৃষক বদিউজ্জামানের তিন ছেলের মধ্যে উজ্জ্বল সবার ছোট।
সে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে মাস্টার্স ১ম বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে গত দুই বছর আগে ঢাকায় যায়।
এরপর আশুলিয়া থানার শাহজাহান মার্কেট এলাকার মাদারী মাদবর কেজি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নেয় সে। পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে যায়।
উজ্জ্বল আশুলিয়া এলাকায় বড় ভাই গার্মেন্ট শ্রমিক আসাদুল ইসলামের বাড়িতে থাকতো। চার মাস আগে আসাদুল গার্মেন্টের চাকরি ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে।
তখন উজ্জ্বল আরেকটি বাসা ভাড়া নিয়ে চাকরি করছিল বলে জানায় তার পরিবার।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জানান, লাশের ছবি দেখে চিনতে পারছেন না। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে গুলশান ২ নম্বরের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় একদল অস্ত্রধারী জঙ্গি। এরপর তারা অন্তত ৩৩ দেশি-বিদেশিকে জিম্মি করে।
প্রায় ১২ ঘণ্টা পর কমান্ডো অভিযান চালিয়ে ওই রেস্টুরেন্টের নিয়ন্ত্রণ নেয় সশস্ত্রবাহিনী। ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২০ জনের লাশ পাওয়া যায় জবাই করা অবস্থায়।
৪ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম