নিউজ ডেস্ক : বগুড়ায় রেটিনা ও ফোকাস কোচিং সেন্টারে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোটিং দুটিতে তাণ্ডব চালায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটি। অফিস দুটির আসবাবপত্র, কমিম্পউটারসহ অনেক মালামাল লুট করেছে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এসময় পুলিশ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের হাতে আটক বগুড়ার জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান রেটিনা কোচিং সেন্টার বগুড়া শাখার ছাত্র ছিল এমন খবর প্রচারের পর মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ছাত্রলীগের দুই শতাধিক নেতাকর্মী শহরের রিয়াজ কাজি লেনে অবস্থিত রেটিনা ও ফোকাস কোচিং সেন্টারে হামলা চালায়।
তারা ওই ভবনের কলাপসিবল গেট ভাংচুরের পর সেখানে অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। এরপর হামলাকারীরা আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন রেটিনা ও ফোকাস কোচিং সেন্টারের একাডেমি ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এসময় হামলাকারীরা অফিসের ভেতর থেকে চেয়ার, টেবিল, কম্পিউটার, ফ্যানসহ আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায়। হামলার সময় পুলিশের গাড়ী পাশেই অবস্থান করলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা জানিয়েছেন।
বগুড়া শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (টিএসআই) ফজলে এলাহী জানান, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।
রেটিনা কোচিং সেন্টার বগুড়া শাখার পরিচালক রাশেদুল ইসলাম দাবি করেন, ভাংচুর ও অগ্নিকাণ্ডে তাদের দুই ভবনে অন্তত ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের বেশকিছু ল্যাপটপ ছিল যার অধিকাংশ লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। এছাড়া বিপুল সংখ্যাক ভর্তি গাইড ও বই পুড়ে গেছে।
এই ব্যাপারে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গোটা দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে। জঙ্গিবাদের সঙ্গে শিবির নিয়ন্ত্রিত ওই দুটি কোচিং সেন্টারের নাম আসায় বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালাতে পারে। এর সঙ্গে ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়।
২৭ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম