বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:০৪:৫৪

কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সরিষা চাষ

কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সরিষা চাষ

মো: জোহরুল ইসলাম জোহির, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ): চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা। বরেন্দ্র অঞ্চল হিসাবে খ্যাত এই এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠের যে দিকে চোখ যায় শুধু সরিষা ফুলের সমারোহ।

সরিষা ফুলের হলদে রঙে রাঙিয়ে গন্ধে ভরে গেছে উঠেছে কৃষকের মাঠ।এসব ক্ষেতে ঝাঁকে ঝাঁকে মুখরিত মৌমাছির গুনগুন শব্দ।

ভোজ্য তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং আমদানী নির্ভর ভোজ্য তেলের ওপর নিভর্রশীলতা কমাতে কৃষি বিভাগের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও প্রণোদনায় নাচোল উপজেলার কৃষকরা আমন ক্ষেতে সরিষা চাষ করে আশার আলো দেখছেন।

উপজেলা বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুলের সমাহার। আমন ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে ওই জমিতেই সরিষা চাষ করছেন কৃষকরা।

নাচোল উপজেলার নেজামপুর ইউপির পল্টনপুকুর এলাকার কৃষক সবুর উদ্দিন।তিনি সরকারি প্রণোদনায় নাচোল উপজেলা কৃষি অফিস হতে সরিষার বীজ নিয়ে প্রায় ৪ বিঘা জমিতে বারি সরিষা-১৪ রোপণ করেছেন। বর্তমানে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ দেখে তিনি আশার আলো দেখছেন।

উপজেলার খেসবা গ্রামের সরিষা চাষী রফিক বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সরিষার দামও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ফলে বাড়তি লাভের পাশাপাশি পরিবারে তেলের চাহিদা পুরণে সক্ষম হবেন কৃষকরা। তাই তিনি এবার গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ জমিতে সরিষা চাষ করেছেন। প্রতি বিঘাতে ৬/৭ মন সরিষার ফলন হতে পারে বলে তিনি আশাবাদী।

কৃষি বিভাগ বলছে, খরচ ও চাষের সময় দুটোই কম হওয়ায় কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে সরিষা চাষ। গত কয়েক বছরে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ফলে শস্যটির ফলনও আগের চেয়ে বেড়েছে। ফলে উপজেলার এলাকার বিভিন্ন স্থানে দিন দিন বাড়ছে সরিষার চাষ। গত বছর নাচোল উপজেলায় ৫৩৯৫ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল, এবার তা বৃদ্ধি পেয়ে ৮১০০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।

এদিকে ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষাকে বিকল্প হিসেবে দেখছে সরকার। এজন্য ফসলটির উৎপাদন বাড়াতে কৃষককে বীজসহ দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ। ফসলের শ্রেণি বিন্যাসে পরিবর্তন এনে গতিশীল করা হচ্ছে সরিষার চাষ।

নাচোল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মেদ বলেন, সরিষা চাষে কৃষককে আগ্রহী করে তুলতে এবার নাচোল উপজেলার ৩ হাজার কৃষককে এক কেজি করে সরিষার বীজ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।

কৃষি অফিস মাঠ পর্যায়ে কর্মীরা ফসলের সার্বক্ষণিক তদারকি করছে। আবাহাওয়া পরিস্থতির বিপর্যয় না ঘটলে কৃষকরা সরিষা চাষে লাভবান হবেন।-যুগান্তর

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে