চট্টগ্রাম : নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে খুন করে দুই সন্তানকে নিয়ে পুলিশের কাছে হাজির হয়েছেন স্ত্রী খতিজা বেগম। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড মাদামবিবিরহাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।
বুধবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশ স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
স্ত্রী খতিজা বেগম ফেনী জেলার দাগনভুঁঞা থানার ভবানীপুর গ্রামের মঞ্জুরুল হকের মেয়ে। নিহত স্বামী জাহাঙ্গীর একই গ্রামের আবদুর রহিমের ছেলে।
খতিজা বেগম বলেন, ২০০০ সালে তার সঙ্গে আপন খালাত ভাই জাহাঙ্গীর আলমের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আছে দুই ছেলে শাহীন (১৩) ও সম্রাট (৩)। দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাড়িটিতে বসবাস করছেন তারা। জাহাঙ্গীর আবুল খায়ের স্টিল মিলসের গাড়িচালক। তার বড় ছেলে শাহীন মাদামবিবিরহাট শাহাজানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
তিনি আরও বলেন, তার স্বামী প্রতিদিন নেশা করে বাড়ি ফিরে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধর করত। বুধবার ভোরে ঘরে ফিরে সন্তানদের সামনে তাকে বেদম মারধর করে জাহাঙ্গীর। নেশা অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লে জাহাঙ্গীরকে মসলা বাটার শিল(পাথর বিশেষ) দিয়ে ঘাড়ে আঘাত করে হত্যা করেন তিনি।
পরে কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। দুপুরের দিকে দুই সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে বারআউলিয়া হাইওয়ে থানায় গেলে তাদের সীতাকুণ্ড থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। পরে পায়ে হেঁটে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূরে সীতাকুণ্ড থানায় যান তিনি।
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মোজাম্মেল হক বলেন, তিনি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশটি উদ্ধার করেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে অন্য কোনো কারণে হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
০৬ অক্টোবর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম