নিউজ ডেস্ক: ঘটনাটা গত জানুয়ারি মাসের। চট্টগ্রামে বোয়ালখালির পশ্চিম শাকপুরা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ বাবুলের বাড়িতে বড়সড় ডাকাতি হয়। রাত ২টায় পুলিশ পরিচয় দিয়ে বাড়িতে ঢুকে যথেচ্ছ লুটপাট চলে। চলে মারধরও। আর পাঁচটা ডাকাতির মতো ওটারও তদন্ত শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত এই ঘটনায় বোয়ালখালি এলাকার কুখ্যাত ডাকাত আবদুল মালেককে সম্প্রতি গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় ডাকাতি হওয়া বেশ কিছু মালপত্রও।
কিন্তু মালেককে জেরা করতে গিয়ে পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ। মালেকের দল হাতে কলমে ডাকাতি করেছে। কিন্তু ডাকাতির নেপথ্যে আসল লোকটি নাকি ওই বাড়িরই জামাই। মালেক জানায়, যে বাবুলের বাড়ি সে ডাকাতি করেছিল সেই বাবুলেরই জামাই জয়নাল আবেদিন জুনু তাকে এই ডাকাতির বরাত দেয়। ডাকাতির সুবিধের জন্য শ্বশুরবাড়ি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব টিপস-ও দিয়ে দেয় সে। শুধু লুটপাট করাই নয়, শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে মারধর করার শর্তও আরোপ করেছিল জামাই জুনু।
গুণধর জামাইকে শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জেরায় সে দোষ কবুল করে। এবং জানায়, শ্বশুরবাড়িতে নিমন্ত্রণ না পেয়ে বদলা নিতে এই কাজ করেছে। বিয়ে ছিল তার শ্যালকের। কিন্তু সেই বিয়েতে আলাদা করে তাকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। এ নিয়েই নাকি প্রচণ্ড ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল মনে। তার পরেই জুনু মতলব আঁটে, ডাকাতি করিয়ে এর বদলা নেবে। বদলা নিল বটে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে বাবাজি নিজেই এখন শ্রীঘরে।-কালের কন্ঠ
২৭ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ