সাইদুল ইসলাম : চট্টগ্রামে জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগে চাঙ্গাভাব দেখা দিলেও বিএনপির শীর্ষ নেতারা এক প্রকার ‘চুপ’ হয়েই রয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতারা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, টেবিল বৈঠক ইত্যাদি করলেও বিএনপি নেতারা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না থাকায় ‘কৌশলী’ ঘরোয়া আলোচনায় সীমাবদ্ধ আছেন বলে তারা জানান।
বিএনপি নেতারা মনে করছেন, এ নির্বাচন কমিশনের আওতায় সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করা যায় না। এতে দলীয় সিদ্ধান্ত না থাকায় তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এক ধরনের নীরবতা অবলম্বন করে নির্বাচনের পরোক্ষ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বলে দাবি। বর্তমানে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন।
বিএনপি নেতা গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, গত ইউপিসহ বিভিন্ন নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে যে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে প্রথমে নিজেদের তৈরি করতে হবে। অন্যথায় কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে না। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া উচিত। সরকারের নানাবিধ কর্মকাণ্ডের কারণেও এ নির্বাচন কমিশন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। দেশের স্বার্থে সরকার ‘প্রজেটিভ’ হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম বলেন, দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনকালে চেষ্টা করেছি এবং এখনো করছি, প্রতিটি এলাকার উন্নয়নসহ নানাবিধ কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে। তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচন আসছে যেকোনো ব্যক্তি বা দলীয় নেতা দল থেকে মনোনয়ন পেতে আগ্রহী হবেনই। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি, আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত না হলেও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির অনেক নেতার নাম আলোচনা চলছে নেতা-কর্মীদের মাঝে। তবে আওয়ামী লীগের বর্তমান প্রশাসক সালামই যোগ্য প্রার্থী মনে করছেন অধিকাংশ তৃণমূল নেতা। পক্ষান্তরে বিএনপির মধ্যে যোগ্য জেলা পরিষদ প্রশাসক প্রার্থী নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছেন অনেকেই। ডিসেম্বরেই চট্টগ্রামসহ সারা দেশে জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার সময় ঘোষণা করেছে সরকার। বিডি প্রতিদিন
১১ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি