চট্টগ্রাম থেকে : কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বড় বোন অ্যাড. জুবাঈদা সরোয়ার চৌধুরী দাবি করে বলেছেন, নিহত দিয়াজের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট তৈরির দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ মর্গে উপস্থিত থাকায় তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট বের করুন। তাহলে অনেক রহস্যের উৎঘাটন হবে।
তিনি আরও বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট তৈরির সময় দায়িত্বরত ডাক্তার ছাড়া আর কেউ উপস্থিত থাকতে পারেন না। কিন্তু ওই দিন চমেক অধ্যক্ষ ভোর পাঁচটায় কেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন? ওই দিনের কল লিস্ট যাচাই বা বের করলে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন ছাত্র-ছাত্রীর ব্যানারে দিয়াজ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানান তিনি। এ সময় দিয়াজের ছোট বোন নিশা চৌধুরী ও ভাই মিরজা ইরফার চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
জুবাঈদা সরোয়ার চৌধুরী আরও বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ পরিবারের সন্তান। পুরো পৃথিবীর বিনিময়ে হলেও আমি আমার ভাইকে ভুলতে পারব না। আমার পরিবার চায়, কারা আমার ভাইকে হত্যা করেছে তার সুষ্ঠ তদন্ত করে বিচার হোক। কারা এ ঘটনার মদদদাতা, কারা আমার ভাইয়ের হত্যাকণ্ডকে অন্যদিকে নিয়ে যেতে চাইছে সেটা বেরিয়ে আসুক।
তিনি বলেন, খুনিরা খুব বেশি শক্তিশালী। এতে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনের জন্য আজকের মানববন্ধনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। আশা করব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার ভাইয়ের বিষয়টি নিজ দায়িত্বে মনিটরিং করে সঠিক রহস্য উদঘাটন করবেন।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সাবিহা মুসা, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক কাউন্সিলর জাফর আহমেদ চৌধুরী, জাতীয় পেশাজীবী লীগ চট্টগ্রামের সেক্রেটারি মুনিরুল ইসলাম, ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা শওকত বাঙালি, যুবলীগের ২ নম্বর জালালাবাদ শাখার যুগ্ম সম্পাদক নিজাম উদ্দিন ও মহানগর যুবলীগ নেতা ওসমান। বিডি প্রতিদিন
৩ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি