মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৭, ০১:০৯:৩০

ছদ্মবেশে ১৮ বছর, অতঃপর ধরা

ছদ্মবেশে ১৮ বছর, অতঃপর ধরা

মহিউদ্দীন জুয়েল : খুন করে ছদ্মবেশ ধারণ। তারপর পুলিশের আড়ালে ১৮ বছর। দেশের বিভিন্ন জায়গায় পালিয়ে থাকার পর তবুও শেষরক্ষা হলো না ফোরকানের। পিকআপ মালিক সমিতির সহ-সভাপতির পদ নিয়ে সমাজসেবা করার চেষ্টার আগেই ধরা পড়তে হলো তাকে।

চট্টগ্রামে সাইফুল নামের এক স্কুলছাত্রকে খুনের ঘটনায় ফোরকান নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। এই ঘটনায় ফোরকানের পুরো পরিবারের অন্য সদস্যদেরও শাস্তি দিয়েছেন আদালত। তারা সবাই কারাগারে বন্দি থাকলেও ফোরকান ছিল পালিয়ে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশ জানায়, আজ থেকে ১৮ বছর আগে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়ার জেরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে খুন করে পালিয়ে যায় ফোরকান (৪০)। তবে পলাতক থাকলেও সে মামলার বাদী ওই পরীক্ষার্থীর বড় ভাইকে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করতে থাকে। ঘটনাটি ঘটে হাটহাজারী উপজেলার গুমানমর্দন ইউনিয়নের পশ্চিম ছাদেকনগর গ্রামে।

ওই গ্রামের বাসিন্দা মো. সাইফুল আলম চৌধুরী (১৬) ১৯৯৮ সালে মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেন। কিন্তু পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগে ওই বছরের ১২ জুন তাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ফোরকানকে প্রধান আসামি করে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন আবুল কালাম। এই ঘটনায় আসামি ফোরকানের যাবজ্জীবন সাজা হলেও সে কৌশলে পালিয়ে যায়।

বায়েজিদ থানা পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পলাতক ফোরকানকে রবি গেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিন মাস আগে হত্যা মামলায় ফোরকানসহ চারজনের সাজা হয়। সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ফোরকানের মা, বোন ও মামা এখন কারাগারে আছে। গতকাল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান জানার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

এই বিষয়ে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন বলেন, ফোরকান ১৮ বছর ধরে পলাতক। সে নিহত স্কুলছাত্র সাইফুলের জেঠাতো বোন বেবি আক্তারের ছেলে। তাদের বাড়ি একই উপজেলার ধলই গ্রামে।  

এই বিষয়ে মামলার বাদী সাইফুলের বড় ভাই আবুল কালাম বলেন, ঘটনার দিন সকালে মুরগির বাচ্চা নিয়ে ঝগড়া হয়। কিন্তু আমরা বুঝতে পারিনি সামান্য এই ঘটনায় তারা আমার ছোট্ট ভাইটিকে টার্গেট করবে। ঘটনার সময় সাইফুলের মাথায় লাঠি ও ইট দিয়ে আঘাত করলে সে মারা যায়। তারপর মামলা করি।

তিনি আরো বলেন, গত বছরের অক্টোবরে ওই মামলায় ফোরকান, তার মা বেবি আক্তার এবং মামা জাহাঙ্গীর আলমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় বিচারক। আমাকে হয়রানি করতে আসামি পক্ষ ২০০২ সাল থেকে আমাকে ঘর পোড়ানোর মামলাসহ ৫টি অভিযোগ দায়ের করে। যার কোনোটিরই সত্যতা নেই। এমজমিন
১০ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে