রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম : কখনো বাঁশ, কখনো পিকআপ-মিনিট্রাক, কখনো ভ্যানগাড়ি রাখা হতো। কখনো রাখা হতো ব্যবসার টাইলস। এসবের আশে পাশেই ফুটপাথজুড়ে থাকত আবর্জনার স্তূপ। ফুটপাথ থেকে আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ত মূল সড়কে।
ফলে ফুটপাথ দিয়ে পথচারীদের হাঁটাও দায় ছিল। কেউ হাঁটলেও নাক-মুখ চেপে ধরতে বাধ্য হতো। চট্টগ্রাম নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ও কাজীর দেউড়ি সংলগ্ন এলাকার ফুটপাথের চিত্র এটি। কিন্তু এখন বদলে যাচ্ছে এ চিত্র। তৈরি হচ্ছে নান্দনিক ও দৃষ্টিনন্দন ফুটপাথ। নির্মিত হবে বাগান ও হাঁটাপথ (ওয়াকওয়ে)। ইতিমধ্যে তুলে দেওয়া হয়েছে পিকআপ, ভ্যান, মিনিট্রাকের অস্থায়ী স্ট্যান্ড।
বন্ধ করা হয়েছে আবর্জনা ফেলা। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বেসরকারি একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সৌন্দর্যবর্ধনের নকশা তৈরি করেছে। অক্টোবরের শুরু থেকে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলে আসছে। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানা গেছে।
চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম নগরকে ‘ক্লিন ও গ্রিন সিটি’ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্টেডিয়াম সংলগ্ন সড়ক-ফুটপাথ নান্দনিক করা হচ্ছে। তবে কাজটি চসিকের অর্থায়নে নয়, দরপত্রের মাধ্যমে একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এটি বাস্তবায়ন করছে। ’
চসিক সূত্রে জানা যায়, আউটার স্টেডিয়ামের উত্তর ও পূর্ব পাশের ৮০০ ফুট দীর্ঘ ফুটপাথের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন করা হবে। ২৪ ফুট প্রস্থের ফুটপাথকে আট ফুট করে তিন লেনে ভাগ করা হবে। প্রথম ও তৃতীয় লেনে হাঁটার পথ থাকবে এবং মাঝখানের লেনে বাগান করা হবে। তৈরি করা হবে দুটি গণশৌচাগার। থাকবে দর্শনার্থী ও পথচারীদের বসার ব্যবস্থা। তাছাড়া পাশের নালাটিও পাকা করা হবে। এসব কাজে প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয় হবে।
জানা যায়, এ ব্যাপারে গত ২৪ সেপ্টেম্বর চসিকের সঙ্গে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তির শর্তানুযায়ী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান প্রকল্প এলাকায় ক্যাফে, এটিএম বুথ, যাত্রীছাউনি নির্মাণ করতে পারবে। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটি এলইডি বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। তবে এসব কাজ করার সময় সরকারি সম্পদের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। প্রকল্প এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। -বিডি প্রতিদিন
এমটিনিউজ/এসএস