চট্টগ্রাম থেকে : চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিবি-বন্দর) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা বিভাগের ০১টি টিম ডবলমুরিং থানাধীন বেপারীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ০১ নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
রওশন আক্তার নামীয় এক মহিলা গত মাসে নগরীর হালিশহরস্থ একটি ইঞ্জিনিয়ারীং ফাঁর্মসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভুয়া তথ্য দিয়ে প্রতারনার উদ্দেশ্যে চাকরীর জন্য আবেদন করেন। তার এইরকম প্রতারনার ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন একটি ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্মের এক এমডি। গত মাসে রওশন আক্তার নামীয় ঐ মহিলা হালিশহরস্থ একটি ইঞ্জিনিয়ারীং ফাঁর্মে ভুয়া তথ্য দিয়ে চাকুরীর জন্য আবেদন করেন।
পরবর্তীতে ঐ প্রতিষ্ঠানের এমডি জনৈক ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেইসবুক) এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী করেন। একপর্যায়ে গত ২৩/০১/২০১৮খ্রিঃ রওশন নামীয় ঐ চাকরী প্রার্থী এমডি সাহেব’কে পরিবারের অভিভাবক’দের সাথে পরিচয় করে দিতে কৌশলে নগরীর বেপারীপাড়াস্থ একটি বাসায় নিয়ে যান।
অফিসের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে নিয়োগ দেওয়ার পূর্বে প্রার্থী সম্পর্কে ভাল করে জানা এবং তার অভিভাকদের সাথে পরিচিত হওয়ার উদ্দেশ্যে ঐ ইঞ্জিনিয়ার উল্লেখিত দিনে দুপুর বেলায় নগরীর বেপারীপাড়াস্থ রওশনের বাসায় যান। তখন দুপুর আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকা। বাসায় প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পরেই ০৩ জন পুরুষ বাসায় প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন।
তারপর এমডি সাহেব’কে মারধর করে তারকাছে থাকা অর্থ, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পর প্রতারক রওশনকে পাশে রেখে ঐ চক্রের জনৈক রনি (ছাগলনাইয়া ফেনী) অশ্লীল ছবি তুলে এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করার হুমকি দেয় এবং তাকে আটক রেখে ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। তখন ভিকটিম এমডি সাহেব তার এক বন্ধুর মাধ্যমে প্রতারকদের দেয়া বিকাশ নাম্বারে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপন প্রদান করেন।
বাকী ১ লক্ষ টাকা দ্রুত প্রদানের শর্তে মারধর করিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অদ্য ভোরবেলা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ এর এডিসি আবু বকর সিদ্দিক এর নেতৃত্বে একটি টিম বেপারীপাড়ার একটি বাসা থেকে রওশন আক্তার নামীয় ঐ প্রতারক মহিলাকে গ্রেফতার করেন।
তার স্বীকারউক্তি মতে গ্রেফতারকৃত রওশন আক্তার, জনৈক রনি (ছাগলনাইয়া ফেনী) ও অজ্ঞাত ০২ জনসহ মোট ০৪ জনকে বিবাদী করে এই সংক্রান্তে ডবলমুরিং থানায় ০১টি মামলা দায়ের করা হয়।
শুধু চাকরী প্রার্থী না চাকরী দাতারাও প্রতারিত হতে পারেন মর্মে সতর্ক করে দিয়ে মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি-বন্দর) জনাব মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, পিপিএম সকলকে এই ব্যাপারে সচেতন থাকার অনুরোধ করেন। -চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ
এমটিনিউজ/এসএস