চট্টগ্রাম: মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর চট্টগ্রাম নগরের বাসভবন ‘গুডস হিলে’ হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে। চট্টগ্রামে সাকা চৌধুরীর বাসভবনে হামলা করলো কারা?
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে কে বা কারা হামলা-ভাঙচুরে জড়িত তা খুঁজে দেখছে পুলিশ। রাতে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
নগরের কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন গতকাল রাত সাড়ে ১০টায় একটি দৈনিক পত্রিকাকে বলেন, বাসভবনটির চারদিকে প্রাচীর। কিন্তু এই রকম সুরক্ষিত বাড়িতে কারা হামলা করেছে তা তাত্ক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এ নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সন্ধ্যায় নগরের কাজীর দেউরি এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি কর্মীরা নিজেরা মারামারি করেছে। ওই ঘটনার সঙ্গে এ হামলার যোগসূত্র আছে কি না—খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইফতারের ওই ঘটনাস্থল থেকে গুডস হিলের দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। নগরীর গণি বেকারি মোড়সংলগ্ন গুডস হিল পাহাড়ের ওপর সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ি। সাকার পরিবার ছাড়াও তাঁর ছোট ভাই বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, সাইফুদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ অপর ভাইয়ের পরিবার চট্টগ্রামে এলে সেখানে অবস্থান করে থাকেন।
ওই বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক নুরুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে ৫০-৬০ জন যুবক এসে মূল ফটক টপকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা গার্ডরুম ও তার পাশের অফিস কক্ষে ভাঙচুর করে। এর পর ওপরে উঠে গ্যারেজে থাকা মাইক্রোবাস, পাজেরো জিপ ও প্রাইভেট কারসহ আটটি গাড়ি ভাঙচুর করে। হকিস্টিক ও লাঠি নিয়ে আসা ওই তরুণরা ভাঙচুর চালিয়ে চলে যায়। হামলাকারীরা বাড়ির ভেতর থেকে কিছু কাগজপত্র বাইরে এনে রাস্তায় ফেলে সেগুলোতে আগুন দেয় বলে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানায়।
বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী মজিবুর রহমান বলেন, ‘কিছু ছেলে মিছিল নিয়ে আসে। তারা গাডরুমে ঢুকে আমাকে কোনো কথা না বলতে বলে। এমনকি মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।’
এদিকে ঘটনার পর নগরীর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি দল গুডস হিল এলাকায় যায়। থানার এসআই বিকাশ চন্দ্র শীল বলেন, আমরা সেখানে গিয়ে কাউকে পাইনি।
ছাত্রলীগের বিক্ষোভ : এদিকে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার আগে গতকাল সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী গুডস হিলের সামনে রহমতগঞ্জে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/হাবিব/এইচআর